ইসলামের দৃষ্টিতে স্বামী স্ত্রীর সহবাসের কতিপয় নিয়ম

স্বামী স্ত্রীর সহবাসের নিয়ম 

স্বামী স্ত্রী সহবাসের মাধ্যমে শুধু যৌন আনন্দ লাভ করা যায় না এর মাধ্যমে সন্তান বা সত্তুতির জন্ম হয়ে থাকে। তাই সহবাসের গুরুত্ব ইসলামে অনেক, কেননা সহবাস করা ব্যতীত কখনোই সন্তানের জন্ম হবে না। ইসলামের এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি জন্য রয়েছে স্ত্রী সহবাসের নিয়ম। 


আপনি যদি স্বামী স্ত্রী সহবাসের নিয়ম ও পদ্ধতি না মেনে স্ত্রী সহবাস করে থাকেন তাহলে যেমন সন্তানের উপর শয়তানের কুপ্রভাব কিংবা সন্তানের নানা শারীরিক সমস্যা হতে পারে। অবশ্যই সহবাস করার পূর্বে স্বামী-স্ত্রী উভয়ের সহবাসের নিয়ম গুলো মেনে চলা উচিত।

স্ত্রী সহবাসের নিয়ম 

১, সহবাসের পূর্বে স্বামী-স্ত্রী উভয়ের পাক-পবিত্র থাকবে। 

২, সহবাস শুরু করার পূর্বে অবশ্যই বিসমিল্লাহ বলে শুরু করবেন, ভুলে গেলে যদি বীর্যপাতের পূর্বে স্মরণ হয় তাহলে মনে মনে পড়ে নিতে হবে।

৩, সহবাস করার পূর্বে অবশ্যই দুর্গন্ধ যেমন ধূমপান কোন নেশা জাতীয় সামগ্রী পরিহার কিংবা ঘামের দুর্গন্ধ ইত্যাদি সহবাসের আনন্দময় করে তুলবে।  

৪, ইসলামে সহবাস সহবাস শুরু করার পূর্বে সুগন্ধি জাতীয় আতর কিংবা অন্য কোনো বৈধ হালাল সুগন্ধি ব্যবহার করা সুন্নাত। 

৫, সহবাস করার সময় কখনই কেবলা মুখী হয়ে সহবাস করা যাবে।

০৬. সহবাস করার সময় একেবারে উলঙ্গ না হওয়া।

০৭. সহবাস করার সময় স্ত্রীকে পরিপূর্ণ তৃপ্তি দান করার পূর্বে বিচ্ছিন্ন না হওয়া।

০৮. সহবাস করার বীর্যপাতের সময় মনে মনে নির্ধারিত দোয়া পড়া।

০৯. স্ত্রীর ঋতুকালীন সময় সহবাস না করা।

১০. চন্দ্র মাসের প্রথম এবং পনের তারিখ রাতে সহবাস  না করা।

১১. স্ত্রীর জরায়ুর দিকে চেয়ে সহবাস না করা।

১২.  ইসলামিক নিয়মে সহবাস বিদেশে বা সফরে যাওয়ার আগের রাতে স্ত্রী সহবাস না করা।

১৩. সহবাসের সময় স্ত্রীর সহিত বেশি কথা না বলা।

১৪. জোহরের নামাজের পরে স্ত্রী সহবাস না করা।

১৫. সহবাসের সঠিক নিয়ম ভরা পেটে স্ত্রী সহবাস না করা।

১৬. সহবাসের ইসলামিক নিয়ম উল্টাভাবে স্ত্রী সহবাস না করা।

১৭. স্বপ্নদোষের পর গোসল না করে স্ত্রী সহবাস না করা।

১৮. রাত্রি দ্বি-প্রহরের আগে সহবাস করবে না


স্ত্রী সহবাসের দোয়া কেন পড়বেন 

মানুষ যখন কোন ভাল কাজের দিকে ধাবিত হয় শয়তান তখনই মানুষকে পথভ্রষ্ট করার চেষ্টা করে। আর মানুষ যখন মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের কাছে পানাহ চাই সাহায্য চায় তখন আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মানুষকে সাহায্য করে থাকেন। মহান আল্লাহ তাআলার কাছে সাহায্য চাওয়ার একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে দোয়া। মহান আল্লাহপাকের কাছে সহবাসের সময় সকল প্রকার শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য অবশ্যই দোয়া পড়া উচিত। 


সহবাসের দোয়া কখন পড়তে হয়

নিশ্চই কোন কাজের শুরুতেই আল্লাহর কাছে সাহায্য চাওয়া দরকার হয়। তাই অবশ্যই আপনাকে সহবাস শুরু করার পূর্বে দোয়াটি পড়তে হবে, সহবাসের পূর্বে যদি আপনি দোয়াটি  অবশ্যই পড়ে নিবেন। যদি সহবাস করার বা মিলন করার পূর্বে আপনার দোয়াটি পড়তে ভুলে যান সেটা ভিন্ন কথা।


সহবাসের দোয়া কি নারী-পুরুষ উভয়েই পড়তে পারবে

সহবাসের দোয়া অবশ্যই নারী-পুরুষ উভয়েই পড়ে নিবেন। কেননা এই দোয়াটি মাধ্যমে আল্লাহর কাছে পানাহ বা আল্লাহর সাহায্য চাওয়া হয় যেন শয়তান আমাদেরকে কোন প্রকার কুমন্ত্রণা বা পথভ্রষ্ট না করতে পারে। তাই অবশ্যই শুরুর পূর্বে স্বামী স্ত্রী উভয়ই দোয়াটি পড়ে নিবেন

আরো পরুনঃ দীর্ঘক্ষন সহবাসের ৫ টি ঘরোয়া উপায়




Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন