৫টি শিক্ষনীয় গল্প যা আপনাকে বদলে ফেলবে

৫টি শিক্ষনীয় গল্প 


 শিক্ষনীয় গল্প -১ ( যোগ্যতায় বড় হওয়া)

একদিন শিক্ষক ক্লাসে ঢুকে ব্ল্যাকবোর্ডে একটা লম্বা করে দাগ টানলেন।  এবার তিনি সব ছাত্র কে উদ্দেশ্য করে জানতে চাইলেন আচ্ছা তোমাদের মধ্যে কে আছে। 

 যে এই দাগটিকে ছোট করতে পারবে কিন্তু শর্ত হচ্ছে তোমরা তাকে একটুও মুছতে পারবে না। দাগটিকে না মুছেই ছোট করতে হবে,  তারপর ক্লাস এর সকল ছাত্ররা অপারগতা প্রকাশ করেন। কারণ  দাগ মোছা ছাড়া কোনভাবেই দাগটি ছোট করার কোন পদ্ধতি তাদের মাথায় আসছে না। 

এবার শিক্ষক দাগের নিচ দিয়ে আরেকটি বড় করে দাগ টানলেন, যা আগেরটির চেয়ে একটু বড়। ব্যাস আগের দাগটি মোছা ছাড়াই বড় হয়ে গেল। 

শিক্ষক বললেন বুজতে পারলে তোমরা ?  কাউকে ছোট করতে বা হারাতে চাইলে তাকে স্পর্শ না করেও পারা যায়,  এইজন্য নিজেকে বড় করে তুলতে হবে।  তাহলে অন্যের সমালোচনা দুর্নাম করে তাকে ছোট করতে হবে না তুমি বড় হলে সে এমনিতেই ছোট হয়ে যাবে।


শিক্ষনীয় গল্প -২ ( দার্শনিক পণ্ডিত)

একবার এক দার্শনিক পণ্ডিতকে প্রশ্ন করা হল- যদি তাকে একটা সোনার কুড়াল আরেকটা লোহার কুড়াল উপহার দেওয়া হয় তাহলে তিনি কোনটা বেছে নেবেন ?

জবাবে দার্শনিক উত্তর দিলেন, "অবশ্যই লোহার কুড়ালটা নেব। কারণ সোনার কুড়াল দিয়ে আমি কাঠ কাটতে পারবো না. কিন্তূ লোহার কুড়াল দিয়ে আমি বছরের পর বছর কাঠ কেটে যাবো আর আমার মনের মতো সব জিনিস তৈরি করতে থাকবো।

দার্শনিকের কথার ভেতরেই রয়েছে সফলতার গোপন রহস্য। জীবনে অনেক কিছুর সামনে দিয়ে আপনাকে যেতে হবে। হাসি-ঠাট্টা-আড্ডা এ সবে শুধু মনের খায়েশ মিটলেও তাতে ভবিষ্যৎ এর সঞ্চয় বাড়ে না। 

আসলেই তাই, জীবনে চলার পথের এই সুবিশাল মরুভুমিতে যা কিছুই সামনে আসুক না কেন- তা যদি আপনার জীবনের তৃষ্ণা দূর করতে না পারে তবে সে জিনিসের কোনই মূল্য নেই।

তাই যা কিছুর পেছনে আপনি ছুটে বেড়াচ্ছেন, আগে ভাবুন তা আদৌ আপনার কোনও উপকারে আসবে কিনা !

শিক্ষনীয় গল্প -৩ ( দুধওয়ালী ও তার বালতি )

প্যাটি দুধওয়ালী সবে তার গরুর দুধ দোওয়া শেষ করেছে এবং দুইটি বালতি তাজা ক্রিমযুক্ত দুধে ভরা ছিল। সে একটি লাঠিতে দুটি বালতি আটকালো এবং বাজারে বালতি ভর্তি দুধ বিক্রীর জন্য বেরোলো। পথে যেতে যেতে সে ভাবতে শুরু করল তার বালতি ভর্তি দুধের কথা এবং কত টাকা সে পাবে।

একবার আমি টাকা পেলে, আমি একটি মুরগি কিনবো‘, সে ভাবলো। ‘মুরগি ডিম দেবে আর আমি আরো মুরগি পাব। তারা সবাই ডিম দেবে এবং আমি তাদের আরো অর্থের জন্য বিক্রি করতে পারি। তারপর আমি পাহাড়ে একটি বাড়ি কিনবো এবং গ্রামের প্রত্যেকে আমাকে হিংসা করবে। তারা আমাকে মুরগির খামার বিক্রি করতে বলবে, কিন্তু আমি এইভাবে আমার মাথা নাড়াব এবং অস্বীকার করবো।’ এই বলে, প্যাটি, দুধওয়ালী মাথা নাড়াল এবং তার বালতি পড়ে গেল। প্যাটি চিৎকার করে উঠল যখন সব দুধ মাটিতে ছড়িয়ে গেল।

লিচু চোর কবিতা - কাজী নজরুল ইসলাম

কবিতা- কেউ কথা রাখেনি- (সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়)

মানুষ কবিতা- গাজী-ভাই

বাংলা কবিতা - মিনতী - গাজী ভাই

বিরহের কবিতা-গাজী-ভাই



Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন