বাতের ব্যথার লক্ষণ

বাতের ব্যথার লক্ষণ
 বাতের ব্যথার লক্ষণ


সম্মানিত পাঠক গন আজ আমরা কথা বলবো  বাতের ব্যথার লক্ষণ  সম্পর্কে। বাতের ব্যথার লক্ষণ? বাতের ব্যথা কোথায় কোথায় হয়?বাতের ব্যথার ব্যায়াম?বাতের ব্যথার ওষুধের নাম কি? বাতের ব্যথার ঘরোয়া চিকিৎসা? কি খেলে বাতের ব্যথা বাড়ে? রস বাতের লক্ষণ? বাতের ব্যথা কমানোর উপায়?বাতের ব্যথা কি? সম্পর্কে তো চলুন বন্ধুরা আর কথা না বাড়িয়ে আমরা আমাদের মূল আলোচনায় চলে যাই।

আরো পড়ুনঃ ছেলেদের টাইটান জেল সরাসরি কিনতে ক্লিক- এখনই কিনুন

অনলাইনে ছেলেদের ও মেয়েদের যাবতীয় পার্সোনাল ও গোপনীয় পণ্যসামগ্রী সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কসমেটিক সামগ্রী দেশের সবচেয়ে কম দামে ক্রয় করতে ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট Www.gazivai.com


     বাতের ব্যথার লক্ষণ


    বাতের সমস্যা সাধারণত বৃদ্ধাঙ্গুলিতে প্রথম দেখা দেয়। এর প্রধান লক্ষণগুলো হচ্ছে প্রদাহ, ব্যথা, অস্থিসন্ধি লাল হয়ে যাওয়া, অস্থিসন্ধি ফুলে যাওয়া ইত্যাদি। বাতে পায়ের আঙুল নাড়াতে তীব্র ব্যথা হয়; অনেক সময় রোগীরা বলে থাকে যে, চাদরের স্পর্শেও ব্যথা লাগে।


    বাত সাধারণত ৪০ থেকে ৫০ বছর বয়সী পুরুষদের ক্ষেত্রে বেশি হয়ে থাকে। মহিলাদের ক্ষেত্রে সাধারণত ৪৫ বছরের পর দেখা দেয়। তবে শিশু এবং তরুণদের সাধারণত এ রোগে আক্রান্ত হতে খুব একটা দেখা যায় না।


    যেসব কারণে বাতরোগের ঝুঁকি বাড়ে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো— ডায়াবেটিস, শরীর মোটা হয়ে যাওয়া, কিডনির রোগগুলো, সিকল সেল এনিমিয়া (এক ধরনের রক্তস্বল্পতা)। নিয়মিত অ্যালকোহল পান করলে তা দেহ থেকে ইউরিক এসিড বের করে দেয়ায় বাধা দেয় এবং প্রকারান্তরে বাতের ঝুঁকি বাড়ায়।


    কিছু কিছু ওষুধ যেমন—অ্যাসপিরিন, বিভিন্ন ডাই-ইউরেটিকস, লিভোডোপা, সাইক্লোস্পোরিন ইত্যাদি অনেক সময় বাতের ঝুঁকি বাড়ায়।


    তের লক্ষণগুলো খুব দ্রুতই দেখা দেয়, যেমন কখনও কখনও এক দিনের মধ্যেই দেখা দেয় এবং একই সঙ্গে একটি মাত্র অস্থিসন্ধিতে লক্ষণ দেখা দেয়। বিরল ক্ষেত্রে ২-৩টি অস্থিসন্ধিতে এক সঙ্গে ব্যথা হয়। যদি অনেক স্থানে এক সঙ্গে লক্ষণ দেখা দেয়, তবে হয়তো তা বাতের কারণে নাও হতে পারে। তবে চিকিৎসা না করা হলে বাত অস্থি:সন্ধির যথেষ্ট ক্ষতি করতে এমনকি চলন ক্ষমতাও হ্রাস করতে পারে।


     এই ব্যথায় আক্রান্ত রোগীদের গিরায় ব্যথার পাশাপাশি মাংসপেশিতেও ব্যথা হয়ে থাকে। এমনকি মেরুদণ্ডেও ব্যথা করতে পারে। আবার তরুণ বয়সীদের একধরনের বাত হয়ে থাকে যাকে বলে স্পন্ডিলো আর্থ্রাইটিস। আবার কিছু কিছু বাত আছে যেটা বাচ্চা মেয়েদের ক্ষেত্রে বেশি হয়। এই বাতের সমস্যাকে সিস্টেমিক লুপাস এরিথেমেটোসাস বলে।

     আরোপড়ুনঃঅ নামের ছেলেরা কেমন হয়

     আরোপড়ুনঃঅ নামের মেয়েরা কেমন হয়

     আরোপড়ুনঃআয়াত নামের অর্থ কি।Aya tnamer ortho ki

    বাতের ব্যথা কোথায় কোথায় হয়


    বাতের সমস্যা সাধারণত বৃদ্ধাঙ্গুলিতে প্রথম দেখা দেয়। এর প্রধান লক্ষণগুলো হচ্ছে প্রদাহ, ব্যথা, অস্থিসন্ধি লাল হয়ে যাওয়া, অস্থিসন্ধি ফুলে যাওয়া ইত্যাদি। বাতে পায়ের আঙুল নাড়াতে তীব্র ব্যথা হয়; অনেক সময় রোগীরা বলে থাকে যে, চাদরের স্পর্শেও ব্যথা লাগে।

    বাতের ব্যথা কোথায় কোথায় হয়


    আমাদের শরীরে একটি ইমিউন সিস্টেম আছে। এটা হলো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, যার দায়িত্ব হচ্ছে শরীরকে পাহারা দেওয়া। বেশির ভাগ এ ধরনের বাতগুলো, যেগুলো বেশ জটিল, যেগুলোর নাম হিসেবে একটি বলি এসএলই; এটা তরুণীদের বেশি হয়। এটিও একটি কঠিন রোগ। আরেকটি রোগ রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস। এগুলো তরুণ বয়সে বেশি হয়। এগুলো আমাদের ইমিউন পদ্ধতির কারণে হয়।


    ইমিউন পদ্ধতির দায়িত্ব হলো বিভিন্ন রোগশোকের আক্রমণ থেকে শরীরকে পাহারা দেওয়া। অথচ এই ইমিউন পদ্ধতিই হঠাৎ করে শরীরের সঙ্গে প্রতারণা করে। 

    বাতের ব্যথার ব্যায়াম

    নরম তোয়ালে ভাঁজ করে হাঁটুর নিচে রেখে হাঁটু দিয়ে তোয়ালের ওপর চাপ দিয়ে ৫-১০ সেকেন্ড ধরে রাখুন এবং ছেড়ে দিন। দিনে ৩-৪ বার এ ব্যায়াম করতে পারেন। প্রতিবার ১০-১৫ বার করুন। * চেয়ারে বসে পায়ের গোড়ালিতে ২-৩ কেজি ওজনের বালুর ব্যাগ বেঁধে পা সোজা করে ১০ সেকেন্ড ধরে রাখুন এবং আবার ভাঁজ করুন।

    বাতের ব্যথার ব্যায়াম


    ব্যাথা, যন্ত্রণা কমানোর জন্য দারুণ উপকারী হল ব্যায়াম। বাতের সমস্যা অতিরিক্ত হলে একজন অভিজ্ঞ ফিজিওথেরাপিস্টের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। তিনিই বিভিন্ন ব্যায়ামের মাধ্যমে


    বাতের ব্যথার ওষুধের নাম কি


    অ্যালোপিউরিনল, কোলচিসিন এবং প্রোবেনেসিড আলাদাভাবে কিংবা একসঙ্গে ব্যবহার করা যেতে পারে। এ ওষুধগুলো দ্রুত কার্যকর হয় তখনই, যখন এগুলো রোগের লক্ষণ দেখা দেয়ার ১২ ঘণ্টার মধ্যেই ব্যবহার করা যায়। প্রতিরোধ : প্রতিরোধই বাতের সমস্যা থেকে উপশমের উত্তম উপায়।


    বাতের ব্যথার ঘরোয়া চিকিৎসা


     বাতের কারণে হওয়া ব্যথার নিরাময়ে গরম ভাপ দেওয়া অত্যন্ত কার্যকর। আর খেলাধুলা ও দুর্ঘটনা থেকে হওয়া ব্যথায় বরফ প্রয়োগ করতে হবে। অ্যাপল সাইডার ভিনিগার: এতে থাকা প্রদাহনাশক উপাদান বাতের মতো দীর্ঘমেয়াদি হাঁটু ব্যথা থেকে আরাম দিতে পারে।

    বাতের ব্যথার ঘরোয়া চিকিৎসা


     শুধু হাঁটু নয়, শরীরের সকল জোড়ের ব্যথায় মালিশ অত্যন্ত উপকারী। আর এই মালিশের কাজে ‘এসেনশল অয়েল’ ব্যবহার করাটা আরও উপকারী হতে পারে। আদা এবং কমলা থেকে তৈরি ‘এসেনশল অয়েল’ হাঁটু ব্যথা সারাতে সহায়ক। এই তেলগুলো পেশি সিথিল করে এবং আক্রান্ত অংশের ব্যথা কমায়।


    তাপ ও ঠাণ্ডা: ব্যথা আক্রান্ত অংশে গরম ভাপ দেওয়া এবং বরফ প্রয়োগ করা দুটোই উপকারী। তবে ব্যথার ধরনের উপর নির্ভর করবে ভাপ নেবেন না কি বরফ ঘষতে হবে।


    কি খেলে বাতের ব্যথা বাড়ে


    সয়াবিন, বাদাম, মাংস, ভুট্টা, সূর্যমুখী তেল ইত্যাদিতে ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। আমাদের শরীরের জন্য লবণ হলো গুরুত্বপূর্ণ খনিজ। তবে এটি বেশি খাওয়া কখনোই উপকারী নয়। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব খাবারে লবণ বেশি থাকে সেগুলো বাতের ব্যথা বাড়িয়ে তুলতে পারে।


    বাতের ব্যথা বাড়িয়ে দিতে পারে প্রক্রিয়াজাত খাবার। হতে পারে তা ক্যান ফুড, বেকড ফুড, ফ্রোজেন ফুড, ফাস্ট ফুড কিংবা প্যাকেটজাত স্ন্যাকস। এসব খাবার তৈরিতে যে ধরনের উপকরণ ব্যবহার করা হয় সেগুলো বাতের সমস্যা বৃদ্ধি করতে পারে। প্রক্রিয়াজাত খাবারে থাকে প্রচুর লবণ, চিনি ও ফ্যাট। এসবই প্রদাহ বাড়িয়ে দিতে কাজ করে। এছাড়াও অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার কারণে বাড়তে পারে স্থুলতা, কমে যেতে পারে ইনসুলিনের উৎপাদন। এগুলো বাতের ব্যথাকে আরও প্রভাবিত করে। তাই প্রক্রিয়াজাত খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন।


    রস বাতের লক্ষণ


    মূত্রের মাধ্যমে যে পরিমাণ স্বাভাবিক ইউরিক এসিড বেরিয়ে যায়, তার থেকে বেশি পরিমাণ ইউরিক এসিড যখন আমাদের যকৃৎ তৈরি করে তখনই তা রক্তের পরিমাণ বাড়ায়।


    অথবা খাবারের মাধ্যমে বেশি পরিমাণ ইউরিক এসিডের উৎস যেমন লাল মাংস, ক্রিম, রেড ওয়াইন ইত্যাদি গ্রহণ করলে এবং কিডনি রক্ত থেকে যথেষ্ট পরিমাণে তা ফিল্টার করতে না পারলে বাতের উপসর্গগুলো দেখা দেয়।


    সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ইউরিক এসিড অস্থিসন্ধিতে ক্রিস্টালরুপে জমা হতে থাকে এবং তাতে অস্থিসন্ধি ফুলে যায়, প্রদাহ এবং ব্যথা হয় এবং সেই সঙ্গে অস্থিসন্ধি ধীরে ধীরে শক্ত হয়ে যায়। বাত সাধারণত পায়ের আঙুলের অস্থিসন্ধিকে আক্রান্ত করে।


    বাতের ব্যথা কমানোর উপায়


    আর্থারাইটিস অর্থাৎ বাতের রুগীরা নিয়মিত খাবারে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড যুক্ত মাছ- যেমন, ইলিশ, পমফ্রেট, টুনা, পাবদা, রুই, সার্ডিন জাতীয় মাছ খান। মাছের পরিবর্তে কড লিভার অয়েল ক্যাপসুল খাওয়া যেতে পারে। আখরোট ওমেগা থ্রি-তে ভরপুর। নিয়মিত ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার বাতের ব্যথা ও ইনফ্লামেশন কমাতে সহায়ক।


    বাতের ব্যথা কি


    আমাদের শরীরের হাড়, মাংস, অস্থিসন্ধিতে দীর্ঘমেয়াদি যে ব্যথা হয়ে থাকে সেটাকে বাতব্যথা বলে থাকে। শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গে যখন কোনো ব্যথা ছয় সপ্তাহ অর্থাৎ দেড় মাসের বেশি সময় ধরে স্থায়ী থাকে, তখন সেই ব্যথাকে দীর্ঘমেয়াদি বাতব্যথা বলা হয়। এই বাতের ব্যথাকে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে


    আরো পড়ুনঃ কেডস জুতা কিনতে সরাসরি ক্লিক করুন - এখনই কিনুন

    আরো পড়ুনঃ লোফার জুতা কিনতে সরাসরি ক্লিক করুন - এখনই কিনুন

    আরো পড়ুনঃ ৭ দিনে ওজন কমানোর ডেটক্সি স্লিম কেনার জন্য ক্লিক করুন - এখনই কিনুন

    আরো পড়ুনঃ চোখের নিচে কালো দাগ দূর করার ক্রিম সরাসরি কিনতে ক্লিক করুন - এখনই কিনুন

    আরো পড়ুনঃ মেয়েদের নাইট ড্রেস সরাসরি কিনতে ক্লিক করুন - এখনই কিনুন


    Post a Comment

    নবীনতর পূর্বতন