চেরি ফুল গাছ
চেরি ফুল গাছ হলো Prunus গণের একটি উদ্ভিদ। এটি একটি পর্ণমোচী বৃক্ষ, যার উচ্চতা ১০ থেকে ৩০ মিটার পর্যন্ত হতে পারে। চেরি ফুলের গাছের কাণ্ড অসমান, ডালপালা বিক্ষিপ্ত ও নোয়ানো স্বভাবের।
আরো পড়ুনঃ ২
পিস চামড়ার বেল্ট ৬০০ টাকা কিনতে এখনই ক্লিক
করুন
পাতা সবুজ, লম্ব আয়তকার, ১০ সেন্টিমিটার বা ততোধিক অথবা বিচিত্র গড়নের, কিছু জাতের পাতা দেখতে অনেকটা পাটপাতার মতো, শিরা স্পষ্ট, কিনারা দাঁতানো, কোনো কোনোটি বিপ্রতীপভাবে বিন্যস্ত।
চেরি ফুলের গাছের ফুল গোলাপি, সাদা ও লালচে রঙের হয়ে থাকে। ফুলগুলি সাধারণত গুচ্ছবদ্ধ হয়ে থাকে। চেরি ফুলের ফুল ফোটে বসন্তকালে। চেরি ফুলের গাছের ফল চেরি ফল নামে পরিচিত। চেরি ফল গোলাকার, লালচে রঙের এবং মিষ্টি স্বাদের হয়। চেরি ফল খাওয়া হয়, এবং এটি থেকে জেলি, চাটনি, রস ইত্যাদি তৈরি করা হয়।
চেরি ফুলের গাছ সারা বিশ্বে জনপ্রিয়। বিশেষ করে জাপানে চেরি ফুলের গাছ খুব জনপ্রিয়। জাপানে চেরি ফুলের ফোটা মৌসুমকে "হানামি" বলা হয়। এই সময় জাপানের মানুষ চেরি ফুলের গাছের নিচে বসে গান, কবিতা, ও খাবার উপভোগ করে।
চেরি ফুল গাছ বাংলাদেশ
চেরি ফুলের গাছগুলি গ্রীষ্মমন্ডলীয় এবং উপক্রান্তীয় অঞ্চলে জন্মে। বাংলাদেশে, চেরি ফুলের গাছগুলি সাধারণত ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট এবং খুলনা বিভাগের শহরগুলিতে দেখা যায়।
বাংলাদেশে প্রচলিত চেরি ফুলের গাছের মধ্যে রয়েছে:
- জারুল (Carissa carandas): জারুল গাছটি একটি বনজ উদ্ভিদ যা বাংলাদেশে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। এটি একটি চিরহরিৎ গাছ যা ৫ থেকে ১০ মিটার উঁচু হতে পারে। জারুল ফুলগুলি গোলাপি, সাদা বা বেগুনি রঙের হতে পারে।
- পলাশ (Butea monosperma): পলাশ গাছটি একটি দ্রুত বর্ধনশীল গাছ যা বাংলাদেশে বসন্তকালে ফোটে। এটি একটি পর্ণমোচী গাছ যা ১০ থেকে ২০ মিটার উঁচু হতে পারে। পলাশ ফুলগুলি লাল রঙের হয়।
- মধুমঞ্জরী (Tabernaemontana amygdalina): মধুমঞ্জরী গাছটি একটি বনজ উদ্ভিদ যা বাংলাদেশে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। এটি একটি চিরহরিৎ গাছ যা ৫ থেকে ১০ মিটার উঁচু হতে পারে। মধুমঞ্জরী ফুলগুলি সাদা রঙের হয়।
চেরি ফুলের গাছগুলি তাদের সৌন্দর্যের জন্য প্রশংসিত। এগুলি প্রায়শই বাগান, পার্ক এবং রাস্তায় রোপণ করা হয়।
আরো পড়ুনঃম্যাজিক কনডম কিনতে
এখনই
ক্লিক করুন
আরো পড়ুনঃ দ্রুত চিকন হওয়ার ওষুধ DETOXI
SLIM কিনতে এখনই
ক্লিক করুন
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন