কলাবতী শাড়ি

কলাবতী শাড়ি

কলাবতী শাড়ি

কলাবতী শাড়ি হলো একটি নতুন ধরনের শাড়ি যা কলাগাছের তন্তু থেকে তৈরি করা হয়। এটি বাংলাদেশের বান্দরবান জেলায় উদ্ভাবিত হয়। কলাবতী শাড়ি তার উজ্জ্বল রঙ, নরম কাপড় এবং টেকসইতার জন্য পরিচিত।

আরো পড়ুনঃ পিস চামড়ার বেল্ট ৬০০ টাকা কিনতে এখনই ক্লিক করুন

আরো পড়ুনঃ মোটা হওয়ার ইন্ডিয়ান গুড হেলথ কিনতে এখনই ক্লিক করুন

কলাবতী শাড়ি তৈরির জন্য প্রথমে কলাগাছের বাকল থেকে তন্তু সংগ্রহ করতে হয়। এরপর এই তন্তুগুলিকে সুতায় রূপান্তরিত করা হয়। সুতা তৈরির পর, এটি একটি তাঁতে বোনা হয়। কলাবতী শাড়ির রঙগুলি প্রাকৃতিক রঙ ব্যবহার করে তৈরি করা হয়।

কলাবতী শাড়ি

কলাবতী শাড়ি একটি পরিবেশবান্ধব পণ্য। এটি কলা গাছের যে অংশটি ফেলে দেওয়া হয় তা থেকে তৈরি করা হয়। এটি একটি টেকসই পণ্যও। এটি দীর্ঘ সময় ধরে স্থায়ী হয় এবং রঙ ধরে রাখে।

কলাবতী শাড়ি একটি নতুন এবং উদ্ভাবনী পণ্য। এটি বাংলাদেশের হস্তশিল্পের একটি নতুন মাত্রা যোগ করেছে। এটি একটি জনপ্রিয় পণ্য হয়ে উঠছে এবং দেশের বাইরেও রপ্তানি করা হচ্ছে।

কলাবতী শাড়ি কোথায় তৈরি হয়

কলাবতী শাড়ি তৈরি হয় বান্দরবান জেলায়। এটি বাংলাদেশের একটি পার্বত্য জেলা, যেখানে প্রচুর পরিমাণে কলাগাছ জন্মায়। কলাবতী শাড়ি তৈরির জন্য কলাগাছের তন্তু থেকে সুতা তৈরি করা হয়। এই সুতা থেকে শাড়ি বুনানো হয়। কলাবতী শাড়ি জামদানির মতো চমৎকার নকশার হয়। এটি অত্যন্ত হালকা ও আরামদায়ক।

কলাবতী শাড়ি কে তৈরি করেন

কলাবতী শাড়ি তৈরির উদ্যোগটি বান্দরবান জেলা প্রশাসনের। ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে এই জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে কলা গাছের তন্তু থেকে হস্তজাতশিল্প তৈরির জন্য পাইলট বা পরীক্ষামূলক একটি প্রকল্প পরিচালিত হচ্ছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে কলাগাছের তন্তু থেকে সুতা, কাপড়, শাড়ি, তোয়ালে, ঝুড়ি, ব্যাগ, কলমদানি, ইত্যাদি হস্তজাতশিল্প তৈরি করা হচ্ছে।

কলাবতী শাড়ি তৈরির ফলে বান্দরবান জেলায় কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়াও, এই শাড়ি তৈরির মাধ্যমে কলাগাছের তন্তুকে কাজে লাগানো হচ্ছে। এটি পরিবেশবান্ধব একটি উদ্যোগ।


কলাবতী শাড়ি কে তৈরি করেন


কলাবতী শাড়ি তৈরি করেন মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার ভানুবিল মাঝেরগাঁও গ্রামের মণিপুরী তাঁতি রাধাবতী দেবী। তিনিই প্রথমবারের মতো কলাগাছের আঁশ থেকে সুতা তৈরি করে শাড়ি তৈরি করেন।

রাধাবতী দেবী ১৯৫৮ সালে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার ভানুবিল মাঝেরগাঁও গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৭৫ সাল থেকে মণিপুরী শাড়ি তৈরির কাজ শুরু করেন। ২০২৩ সালের ২ এপ্রিল, বান্দরবান জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজির উদ্যোগে কলাগাছের আঁশ থেকে শাড়ি তৈরির একটি প্রকল্প শুরু হয়। এই প্রকল্পের অধীনে রাধাবতী দেবীকে কলাগাছের আঁশ থেকে সুতা তৈরি এবং শাড়ি বুনন প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। দীর্ঘ ১৫ দিনের চেষ্টায় রাধাবতী দেবী এক কেজি সুতা দিয়ে জামদানি ডিজাইনের শাড়ি বুনতে সক্ষম হন। এই শাড়ির নাম দেওয়া হয় "কলাবতী"।

কলাবতী শাড়ি তার স্বতন্ত্র রঙ এবং কারুকার্যের জন্য প্রশংসিত হয়েছে। এই শাড়ি তৈরিতে কলাগাছের আঁশের সাথে প্রাকৃতিক রঙ ব্যবহার করা হয়। শাড়ির আঁচল এবং পাড়ে বিভিন্ন ধরনের নকশা করা হয়। কলাবতী শাড়ি বর্তমানে বাংলাদেশ এবং বিদেশে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।

আরো পড়ুনঃম্যাজিক কনডম কিনতে এখনই ক্লিক করুন

আরো পড়ুনঃ দ্রুত চিকন হওয়ার ওষুধ DETOXI SLIM কিনতে এখনই ক্লিক করুন

আরো পড়ুনঃ ই দিয়ে ছেলেদের নাম / ই দিয়ে ছেলেদের  ইসলামিক নাম  



কলাবতী শাড়ি ? কলাবতী শাড়ি কোথায় তৈরি হয় ? কলাবতী শাড়ি কে তৈরি করেন ? কলাবতী শাড়ি কোন জেলায় 

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন