কলকাতা থেকে আজমীর শরীফ কিভাবে যাওয়া যায়

 কলকাতা থেকে আজমীর শরীফ কিভাবে যাওয়া যায়
 

আজমীর শরীফের নাম আমরা অনেকেই শুনেছে আজকে জানবো কলকাতা থেকে আজমীর শরীফ কিভাবে যাওয়া যায়, কলকাতা থেকে আজমীর শরীফের ট্রেন ভাড়া, কলকাতা থেকে আজমীর শরীফের বিমান ভাড়া এই সবকিছু।


আজমীর শরীফ কোথায় অবস্থিত

আজমির শরিফ দরগাহ, আজমির দরগাহ, আজমের শরীফ বা দরগাহ শরীফ একটি সুফি মাজার দরগাহ সুফি সাধক, ভারতের রাজস্থানের আজমিরে মইনুদ্দিন চিস্তি অবস্থিত।

বাংলাদেশে থেকে আজমির শরীফ কিভাবে যাওয়া যায়

আমরা প্রথমেই জানবো বাংলাদেশ থেকে আজমীর শরীফে যেতে চাইলে কিভাবে আপনাকে যেতে হবে।  বাংলাদেশ থেকে আজমীর শরীফ যেতে হলে আপনাকে প্রথমে বাংলাদেশ হতে কলকাতা যেতে হবে।  কলকাতা যাওয়ার জন্য আপনি ট্রেনে কিংবা বিমান যেকোন একটিতে যেতে পারেন, ট্রেনে যেতে চাইলে আপনাকে ঢাকার কমলাপুর আর বাসে যেতে চাইলে কমলাপুর বা শ্যামলীর শ্যামলী কাউন্টার থেকে কলকাতার বাসের টিকিট কিনতে হবে। 

 বাংলাদেশ থেকে কলকাতার বাসের টিকিট মূল্য 1700 টাকা পর্যন্ত এর কম বা বেশি হতে পারে।


কলকাতা থেকে আজমীর শরীফ কিভাবে যাওয়া যায়

কলকাতার শিয়ালদা থেকে আজমির শরীফ গামী একটি আজমির এক্সপ্রেস নামে ট্রেন রয়েছে যা সরাসরি আজমির শরিফ যায়।  কিন্তু এই ট্রেনের সিডিউল এর কোন ঠিক টাইম বা সময় না থাকার কারণে এটিতে না যাওয়াই ভালো।  আপনি যদি আজমির এক্সপ্রেস ট্রেনে যান তাহলে নন এসির জন্য আপনাকে ভাড়া গুনতে হবে 700 রুপি। এবং এসির জন্য ভাড়া গুনতে হবে 800 রূপি সময় লাগবে প্রায় 28 ঘন্টা থেকে 30 ঘণ্টার মত। 

 এছাড়া আপনি যদি কলকাতা থেকে সোদপুর এক্সপ্রেস বিকানের এক্সপ্রেস রেল ধরে জয়পুর দিয়ে নামেন। ওখান থেকে আজমির যাওয়ার এভেলেবেল বাস বা ট্রেন পাওয়া যায়।  জয়পুর থেকে আজমির যেতে সময় লাগে এক থেকে দুই ঘন্টা।

আরো  খবর পরুনঃ   হাতে বিসমিল্লাহ লেখায় ভারতে এক যুবকের হাত কেটে দিলো

কলকাতা থেকে আজমীর শরীফের ট্রেন ভাড়া

আপনি যদি আজমির এক্সপ্রেস ট্রেনে যান তাহলে নন এসির জন্য আপনাকে ভাড়া গুনতে হবে 700 রুপি। এবং এসির জন্য ভাড়া গুনতে হবে 800 রূপি সময় লাগবে প্রায় 28 ঘন্টা থেকে 30 ঘণ্টার মত। 


কলকাতা থেকে আজমীর শরীফের বিমান ভাড়া

কলকাতা থেকে সরাসরি আজমীর শরীফে কোন  বিমান চলাচল করে না তাই আপনি চাইলেও আজমির শরিফের বিমানে যেতে পারবেন না আপনি রাজস্থান বিমানে গিয়ে সেখান থেকে গাড়িতে করে আবার আজমীর শরীফে যেতে হবে।


আজমির শরিফের ইতিহাস

আজমির শহরটি ভারতীয় মুসলমানদের জন্য একটি পুণ্যভূমি হিসাবে বিবেচিত। এখানে আছে হযরত খাজা মইনুদ্দিন হাসান চিশতী( রঃ) এর মাজার যা আজমির শরীফ হিসাবে সমধিক পরিচিত।

১৯৫০ সালে ‘ আজমির’ ভারতের একটি রাজ্য হিসাবে মর্যাদা লাভ করলেও ১৯৫৬ সালে এটি রাজস্থানের সাথে একীভূত হয়ে যায়। আজমির শহরটি রাজস্থানের একেবারে কেন্দ্রে অবস্থিত। হযরত খাজা মইনুদ্দিন হাসান চিশতী(রঃ) ১১৪২ খ্রিস্টাব্দে ইরানে জন্ম গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে ধর্ম প্রচারের জন্য তিনি ভারতে আগমন করেন। কথিত আছে যে তিনি হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর সরাসরি বংশধর। আজমির এসে ৮০০ ফুট উঁচু এক পাহাড়ের পাদদেশে তিনি আস্তানা গড়ে ধর্ম প্রচার শুরু করেন। বর্তমানে তার মৃত্যু বার্ষিকীতে আরবি রজব মাসের ১ম সপ্তাহে এখানে ঘটা করে ওরস উদযাপিত হয়।

আরো  খবর পরুনঃ   হাতে বিসমিল্লাহ লেখায় ভারতে এক যুবকের হাত কেটে দিলো


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন