কাঁচা ডিম খাওয়ার উপকারিতা

বেশি পরিমাণে কাঁচা ডিম খাওয়ার উপকারিতা


যেসব খাবারে সবচাইতে বেশি পরিমাণে ভিটামিন মিনারেল পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায় তার মধ্যে অন্যতম হলো ডিম,  কিন্তু আশ্চর্য বিষয় হল কাঁচা ডিম খাওয়ার উপকারিতা সবচাইতে বেশি। 


 ডিমের মধ্যে রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ ডিম ক্যালসিয়াম, আয়রন  প্রোটিনের সবচাইতে ভালো উৎস।  ডিম খেলে শরীরের মিনারেল ও ভিটামিনের চাহিদা পূরণ হয়।  ডিমের মধ্যে থাকা ভিটামিন-এ ভিটামিন-বি12 শরীরের জন্য খুবই জরুরী। 


 ডিমের এসকল পুষ্টিগুণ যাতে বিনষ্ট না হয় এজন্য অনেকে কাঁচা ডিম খেতে ভালবাসে।  কাঁচা ডিম খেলে কি উপকার হয় কাঁচা ডিমে বেশি শক্তি পাওয়া যায় কাঁচা ডিম খেলে কি শক্তি বাড়ে কি বলে সম্পর্কে। 


 শুনেন এই ঢাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন বিভাগের বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডাক্তার এবিএম আবদুল্লাহ বিষয়ে কি বলেন।


কাঁচা ডিম খাওয়ার উপকারিতা

কাঁচা ডিম খেলে বেশি শক্তি পাওয়া যায় বা শক্তি বাড়ে, কথাটি একেবারে ভুল। এর কোনো বৈজ্ঞানিক ব্যখ্যা নেই; বরং এ থেকে নানা রোগব্যাধি হতে পারে।


একথা সত্যি যে, রান্না করার সময় ডিমে থাকা ভিটামিন এবং খনিজ পুষ্টি উপাদানগুলো কিছুটা নষ্ট হয়। কাঁচা ডিমে ভিটামিন বি (বি৬ এবং ফোলেট), ভিটামিন ই, খনিজ পুষ্টি উপাদান চোলিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ‍লুটেইন এবং জেএক্সানথিন একটু বেশিই থাকে। কিন্তু এই পার্থক্য খুবই নগন্য।

আরো  খবর পরুনঃ  

 পুরুষদের জন্য বাজারে আসছে জন্মনিয়ন্ত্রণ ইনজেকশন

  বিছানায় ঝড় তুলতে হলে সপ্তাহে তিনদিন এই ৫টি খাবার খান


বরং গবেষকরা এটি বলে থাকেন যে কাঁচা ডিমের চেয়ে সিদ্ধ ডিমে বেশি পুষ্টি উপাদান থাকে কাঁচা ডিমের থেকে সিদ্ধ ডিম কিংবা ভাজা ডিম দ্রুত হজম হয় বলে এটি শরীরের জন্য উপকারী। একটি কাঁচা ডিম থেকে আমাদের শরীর মাত্র ৩ গ্রাম হজমযোগ্য প্রোটিন পেয়ে থাকে অপরদিকে একটি সিদ্ধ ডিম থেকে আমাদের শহরের ৬ গ্রাম হজমযোগ্য প্রোটিন থাকে। 


 উদাহরণস্বরূপ একটি কাঁচা ডিম থেকে আপনি ভিটামিন বি ৬ পাবেন. ০৮৫ মাইক্রোগ্রাম, চেলিন পাবেন ১৪৬.৯ মিলিগ্রাম। অপরদিকে একটি রান্না করা ডিমে ভিটামিন থাকে 0.72 মাইক্রো গ্রাম প্রোটিন থাকে ১১৭ মিলিগ্রাম । 


 প্রোটিনের উসের ক্ষেত্রে রান্না করা ডিম উপকারী।  রান্না করা ডিম থেকে আমাদের শরীর 91 শতাংশ প্রোটিন শুষে নিতে পারে অপরদিকে কাঁচা ডিম থেকে আমাদের শরীর মাত্র 50 শতাংশ প্রোটিন শুষে নিতে পারে।  জার্নাল অফ নিউট্রিশন এর প্রকাশিত এক গবেষণায় এই বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে।


আর তা ছাড়া কাঁচা ডিমে স্যালমোনেলা নামের এমন একটি ব্যাকটেরিয়া বা জীবাণু রয়েছে যা ফুড পয়জনিং বা খাদ্যে বিষক্রিয়া ঘটায়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি বছর অন্তত ১০ লাখ মানুষ খাদ্যের বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হন কাঁচা ডিম খেয়ে।


তবে খাদ্যে বিষক্রিয়ার জন্য দায়ী জীবাণু স্যালমোনেলা শুধু কাঁচা ডিমই নয় বরং পোল্ট্রি, মাংস, কাঁচা দুধ, পনির এবং এমনকি পঁচা ফল-মুল এবং সবজিতেও থাকে।


গবেষকদের নানা তথ্য ও উপাত্ত বিশ্লেষণ করে এটি প্রমাণিত হয় যে আসলে ডিম সেদ্ধ করাটাই শরীরের জন্য বেশি উপকারী।  সেদ্ধ করা ফলে জমে থাকা নানান ক্ষতিকর উপাদান যেমন বিনষ্ট হওয়া যায় তেমনি ক্রিমের থাকা উপাদানগুলো শরীরের জন্য প্রস্তুত হওয়ার সুযোগ পায়। 


 যারা এতদিন মনে করে আসছেন কাঁচা ডিম শরীরের জন্য উপকারী কাঁচা ডিম খাওয়ার উপকারিতা অনেক বেশি তারা আজকে হয়তো বুঝতে পারছেন আসলে কাঁচা ডিম নয় বরং সিদ্ধ ডিমের উপকারিতা সবচেয়ে বেশি। 


 আর্টিকেলটি সম্পর্কে আপনার মন্তব্য কমেন্ট এর মাধ্যমে আমাদের সাথে শেয়ার করতে পারেন আর্টিকেলটির কোন বিষয় সম্পর্কে যদি আপনার মন্তব্য তাকে কমেন্টে লিখে অন্যদের সাথে শেয়ার করুন।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন