সোনার তরী কবিতা - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

সোনার তরী কবিতা


সোনার তরী কবিতা - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

আপনি যদি কবিতা পড়তে ভালোবাসেন কিংবা কবিতা লিখতে ভালোবাসেন তাহলে আজকের কবিতা টি আপনার জন্য। আজকে আমরা পড়বো রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লেখা সোনার তরী কবিতা টি চলুন জেনে আসা যাক  সোনার তরী পুরো কবিতা এবং সোনার তরী কবিতার সারাংশ সম্পর্কে।

সোনার তরী

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গগনে গরজে মেঘ, ঘন বরষা ।

কূলে একা বসে আছি, নাহি ভরসা ।

          রাশি রাশি ভারা ভারা

          ধান কাটা হল সারা

          ভরা নদী ক্ষুরধার

                       খরপরশা--

কাটিতে কাটিতে ধান এল বরষা ।।

একখানি ছোটো খেত, আমি একেলা--

চারিদিকে বাঁকা জল করিছে খেলা ।।

           পরপারে দেখি আঁকা

           তরুছায়ামসী-মাখা

           গ্রামখানি মেঘে ঢাকা

                          প্রভাতবেলা--

এপারেতে ছোট খেত, আমি একেলা ।।

গান গেয়ে তরী বেয়ে কে আসে পারে ।

দেখে যেন মনে হয় চিনি উহারে ।

            ভরা পালে চলে যায়,

            কোনো দিকে নাহি চায়,

            ঢেউগুলি নিরুপায়

                           ভাঙে দু ধারে--

দেখে যেন মনে হয় চিনি উহারে ।।

ওগো, তুমি কোথা যাও কোন বিদেশে?

বারেক ভিড়াও তরী কূলেতে এসে ।

             যেয়ো যেথা যেতে চাও,

             যারে খুশি তারে দাও--

             শুধু তুমি নিয়ে যাও

                              ক্ষণিক হেসে

আমার সোনার ধান কূলেতে এসে ।।

যত চাও তত লও তরণী- পরে ।

আর আছে-আর নাই, দিয়েছি ভরে ।।

                 এতকাল নদী কূলে

                 যাহা লয়ে ছিনু ভুলে

                 সকলি দিলাম তুলে

                              থরে বিথরে--

এবার আমারে লহো করুণা করে ।।

ঠাঁই নাই, ঠাঁই নাই-- ছোট সে তরী

আমারি সোনার ধানে গিয়েছে ভরি।

                   শ্রাবণগগন ঘিরে

                   ঘন মেঘ ঘুরে ফিরে,

                   শূন্য নদীর তীরে

                              রহিনু পড়ি--

যাহা ছিল নিয়ে গেল সোনার তরী ।।

সোনার তরী কবিতার সারাংশ


সোনার তরী কবিতার সারাংশ

অমূল্য রতন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত সোনার তরী' কবিতাটি একটি বিখ্যাত কবিতা সোনার তরী' কবিতায় কবি বুঝাতে চেয়েছেন পৃথিবীতে তুমি যতই করো না কেন শুধু কর্মগুলো মূল্যবান কর্মের মাঝে সৃষ্টি করে সে একান্তই মূল্যহীন। রূপকভাবে কবি সোনার ধানগুলো নৌকার স্থান পেলেও সোনার ধান ফলানোর কৃষকের স্থান হয়নি পৃথিবীতে সৃষ্টি করা মানুষগুলোর সৃষ্টির জায়গা হলেও সৃষ্টিশীল মানুষের কোন জায়গা নেই। 

👉 মেয়েদের ত্বক ফর্সাকারী অরজিনাল goree ক্রিম মাত্র 550 টাকায়

  রবীন্দ্রনাথের লেখা সোনার তরী' কবিতা টি রূপক অর্থে গভীর অন্তর্নিহিত ভাব প্রকাশ করে কবিতাটি দিয়ে কবি একজন মানুষের সঠিক মূল্য সম্পর্কে জানাতে করেছেন। যত ভালো কাজ করো না কেন যত ভালো সৃষ্টি করোনা কেন মানুষগুলো শুধুমাত্র তোমার সৃষ্টি নিয়েই মেতে থাকবে তোমার খোঁজ তোমার কোন খবর কেমবা তোমাকে জায়গা দেয়া নিয়ে তারা ভাবে না ।


বাংলা সাহিত্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এক অবিস্মরণীয় ব্যক্তিত্বের নাম যার লেখা যেমন প্রতিবাদ বিপ্লব রয়েছে তেমনি তার ব্যক্তিজীবন রয়েছে নানান আলোচনা। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলা সাহিত্যে অনবদ্য কিছু সৃষ্টি রয়েছে এর মধ্যে সবচাইতে উল্লেখযোগ্য সৃষ্টি হলো সোনার তরী কবিতাটি বাংলা সাহিত্যে সর্বাধিক পঠিত কবিতাগুলোর মধ্যে একটি। 

👉 ছেলে মেয়ে উভয়েই গোপন অঙ্গের কালো দাগ দূর করার ক্রিম মাত্র 450 টাকা।

 বাংলাদেশের একটি স্বনামধন্য কবিতার ওয়েবসাইটের তথ্য অনুসারে এই কবিতাটি কবি কাজী নজরুল ইসলামের লেখা বিদ্রোহী কবিতার পরের অবস্থানেই রয়েছে। ব্যাপক পাঠকনন্দিত এই কবিতাটি পড়ে পাঠক জীবন কবিতার রস আস্বাদন করে ঠিক তেমনি এই কবিতাটির মাধ্যমে মানুষ কবিতার গুরুত্ব অনুধাবন করতে পারে। 


 আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি পাঠকদের কাছে প্রশ্ন কবিতাটি সত্যিকার অর্থে আপনার কাছে কিরকম লাগলো অর্থাৎ সোনার তরী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখিত এই কবিতাটি আপনার কাছে কীরকম লেগেছে! আজকের এই কবিতাটি সম্পর্কে আপনার মন্তব্য অবশ্যই লিখে জানান এই কবিতাটি আপনার কাছে শ্রেষ্ঠ নাকি কবি নজরুল ইসলামের লেখা বিদ্রোহী কবিতাটি আপনার কাছে শ্রেষ্ঠ মনে হয় মন্তব্য করুন।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন