গ্রিন টি উপকারিতা, খাওয়ার উপযুক্ত সময়

সুস্বাস্থ্যের জন্য নিয়মিত গ্রিন টি উপকারিতা


চা কফির পরে সারা পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি পান করা হয় গ্রিন টি। গ্রিন টি শুধু ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যবহার হয় না সুস্বাস্থ্যের জন্য গ্রিন টি অনেক উপকারী, গ্রিন টি উপকারিতা স্বাস্থ্যের জন্য হুমকি কতটুকু খাওয়া উচিত কখন খাওয়া উচিত সবকিছু জেনে নিন। 


১, গ্রিন টি শরীরের অতিরিক্ত ফ্যাট চর্বি দূর করতে সাহায্য করে,  গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে একদিনে 70 কালরি পর্যন্ত ফ্যাট বার্ন করতে পারে গ্রিন টি।  বিশেষজ্ঞরা বলেন গ্রিন টি নিয়মিত খেতে পারলে 7 পাওন্ড পর্যন্ত ওজন কমানো সম্ভব। 

২, রক্তে অনিয়ন্ত্রিত গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। খাবার গ্রহণের পর রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়, রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতে গ্রীন টি প্রত্যক্ষভাবে সাহায্য করে থাকে তাই এটি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ,

৩, গ্রিন টি উপকারিতা হৃদরোগের ঝুঁকি কমানোর জন্য গ্রীন টি খুবই কার্যকরী।  বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে গ্রিন-টি শরীরের রক্ত চলাচল  স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে গ্রিন টি রক্ত জমাট বাঁধতে বাধা দেয় না। 

৪,  গ্রিন টি হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি প্রবণতা কমায় শরীরের ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। শরীরে অতিরিক্ত কোলেস্টেরল জমাতে না পারায় হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যায়। 

৫,  দাঁতের গ্রাভিটি ভালো রাখতে এনামেলকে আরো সুস্থ করে তুলতে গ্রিন টি সাহায্য করে। গ্রীন টির মতো থাকা কেটে কার্ড নামক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট মুখের ভেতর ব্যাকটেরিয়াকে বারতে বাধা প্রদান করেন। 

৬, নানা প্রকার মানসিক অবসাদ দূর চিন্তা ডিপ্রেশন দূর করতে গ্রিন টি খুবই কার্যকরী।চা পাতায় পিয়ালী নামের অ্যামাইনো এসিড থাকে এই উপাদান অবসাদ কমাতেও সাহায্য করে।  যারা নিয়মিত গ্রীন টি পান করে তাদের মধ্যে অবসাদ দূর চিন্তা কম দেখা দেয়।

আরো পরুনঃ

চা পাতার পাইকারি বাজার কোথায়

চা পাতার গ্রেড গুণাগুণ পরিচিতি

গ্রিন টি খাওয়ার উপযুক্ত সময়:

গ্রিন টি থেকে উপকার পেতে হলে সঠিক সময়ে গ্রিন টি পান করতে হবে। গ্রিন টি খাওয়ার সঠিক সময় হলো সকালে খালি পেটে এবং ব্যায়াম করার আগে। গ্রিন টির মাধ্যমে সকাল শুরু করলে পুরো দিনই আপনার মেজাজ ফুরফুরে থাকবে। গ্রিন টি বা কফি দুটোতেই ক্যাফেইন ও থিয়েনিন রয়েছে। 

এই দুইটির সমন্বয় মন মেজাজ দুইটিই ভালো রাখে। আর আপনার যদি লক্ষ্য থাকে ওজন কমানো তবে শরীর চর্চা করার আগেই গ্রিন টি পান করতে হবে। সেক্ষেত্রে শরীর থেকে দ্রুত ফ্যাট বার্ন হবে।


গ্রিন টি খাওয়ার অনুপযুক্ত সময়:

খাবার গ্রহণের পর অনেকেই চা খেতে দেখা যায়, কিন্তু খাওয়ার পর এবং ঘুমাতে যাওয়ার আগে গ্রীন কি শরীরের উল্টো ক্ষতি ডেকে আনে। খাওয়ার পর গ্রিন টি খেলে খাওয়ার যে সকল উপাদান রয়েছে শরীর তার শোষণ করতে পারে না ফলে শরীরে প্রয়োজনীয় ঘাটতি দেখা দেয়। 

ঘুমানোর পূর্বে গ্রিন টি খেলে ঘুমে ব্যাঘাত ঘটে কারণ গ্রীন টিতে পাওয়ার ক্যাফেইন ঘুমে বাধা সৃষ্টি করে। যদিও গ্রিন টিতে ক্যাফেইনের পরিমাণ চা কফির চাইতে কম তারপরও ঘুমাতে যাওয়ার পূর্বে এই সামান্য ক্যাফেইন ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে যথেষ্ট। 


গ্রিন টি যেভাবে বেশি স্বাস্থ্যকর বানানো যায়:

গ্রিন টি এমনিতেই শরীরের জন্য উপকারী আপনি চাইলে এর পুষ্টিগুণ আরো বাড়িয়ে দিতে পারেন।  গ্রিন টি সে পানিতে মিশিয়ে তৈরি করবেন তা বেশি ঠাণ্ডা কিংবা গরম করা যাবে না। পানির তাপমাত্রা হবে 160 থেকে 180 ডিগ্রি পর্যন্ত। 


 পানিতে গ্রিন টি ২ থেকে ৩ মিনিটের বেশি রাখা ভাল হবে না। 177 মিলি লিটার পানিতে 2 গ্রাম গিরিন টি ব্যবহার করা যেতে পারে। বাড়তি স্বাদের জন্য লেবু পুদিনা পাতা এক চামচ মধু যোগ করে নিতে পারেন। 

তবে একটি সতর্কতাঃ গ্রিন টি বানিয়ে বেশীক্ষন রেখে দেয়া যাবে না এতে স্বাদ তেতো হয়ে যেতে পারে। গ্রিন টি উপকারিতা সম্পর্কে আজকের পোস্টটি এ পর্যন্তই আর্টিকেলটি আপনার ভাল লাগলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন কমেন্টের মাধ্যমে মন্তব্য জানাতে পারেন।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন