এলার্জিজনিত চুলকানির জন্য কোন হোমিও ওষধ খেতে হবে - janbobd24

এলার্জিজনিত চুলকানির জন্য কোন হোমিও ওষধ খেতে হবে 

এলার্জি জনিত সমস্যা যেহেতু একটি মারাত্মক সমস্যা,  এলার্জির স্থায়ী সমাধানের জন্য হোমিও চিকিৎসার সবচাইতে ভালো। তো চলুন জেনে নেই এলার্জি চিকিৎসার জন্য কয়েকটি হোমিও ঔষধের নাম।


চুলকানির সমস্যা কি

 এলার্জি হচ্ছে ত্বকের উপরে ফোসকা পড়ে যাওয়া ত্বকের জন্য খুবই ক্ষতিকর একটি রোগ,  আর এই রোগটি যদি একবার শরীরে ছড়িয়ে পড়ে তাহলে শরীর প্রচুর পরিমাণে চুলকাতে শুরু করে যা খুবই বিরক্তিকর। এলার্জির কারণে অতিরিক্ত চুলকানি হয় যার জন্য এটিকে অ্যালার্জি বা চুলকানি রোগ বলা হয়। 

 অ্যালার্জি বা চুলকানি রোগের চিকিৎসা

 এলার্জি রোগের জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়ার সবচাইতে উত্তম তবে এ রোগের জন্য আপনি একজন হোমিওপ্যাথি ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন তবে আপনি চাইলে এলোপ্যাথি ডাক্তার দেখাতে পারেন।  কখনোই এলার্জি রোগ থেকে দীর্ঘদিন পুষে রাখবেন না কারণ এর থেকে অনেক রোগ ছড়াতে পারে। 

 এলার্জি রোগের কারণ

 এলার্জি রোগের নানান কারণ থাকতে পারে যেমন শরীরের মধ্যে কোন মারাত্মক রোগ থাকলে এলার্জির পরিমাণ বেড়ে যায় ত্বকের কোন রোগ দেখা দিলে অ্যালার্জি হতে পারে। তাই এলার্জি দেখা দেওয়া মাত্রই আপনাকে ভালো বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ বা ঔষধ সেবন করা উচিত।

এলার্জি চিকিৎসার জন্য কয়েকটি হোমিও ঔষধের নাম।

Calendula Officinalis :

ক্যালেন্ডুলা এই ঔষধটি ভ্যাসলিনের সাথে মিশিয়ে মলম আকারে ব্যবহার করা যায় এতে ভালো উপকার পাওয়া যায়,  এর ব্যবহার অনেকটাই সহজ কারণ এটি আপনি যেকোন ভ্যাসলিন কিংবা যেকোন ক্রিমের সাথে মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন।  চর্মরোগ বা চুলকানির মেডিসিন ব্যবহারের পূর্বে আপনাকে একটি বিষয় ভালোভাবে খেয়াল রাখতে হবে আসলে আপনার এই রোগটির  জন্য শরীরের অন্য কোন রোগ দায়ী কিনা।

Sulphur : সালফার চুলকানির একটি শ্রেষ্ট ঔষধ। সালফারের প্রধান প্রধান লক্ষণগুলো যেমন সকাল ১১টার দিকে ভীষণ খিদে পাওয়া, শরীর গরম লাগা, রাতে চুলকানি বৃদ্ধি পাওয়া, গরমে চুলকানি বৃদ্ধি পাওয়া, মাথা গরম কিন্তু পা ঠান্ডা, মাথার তালু-পায়ের তালুসহ শরীরে জ্বালাপোড়া ইত্যাদি পাওয়া গেলে অবশ্যই সালফার প্রয়োগ করতে হবে।

Lapis alba : লেপিস স্ত্রী যৌনাঙ্গের চুলকানিতে একটি কাযর্কর ঔষধ। ইহার প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো জ্বালাপোড়া, সূঁই ফোটানো-হুল ফোটানো ব্যথা, রাক্ষুসে ক্ষুধা, মিষ্টি খাবারের প্রতি ভীষণ লোভ ইত্যাদি।

শরীরে কোন প্রকার রোগ পুষে রাখা মানেই রোগের চাষ করা আর এটি থেকে অন্য রোগের সৃষ্টি হতে পারে তাই অবশ্যই আপনাকে রোগ হলে যথাযথ চিকিৎসা নিতে হবে। 

 আমাদের আর্টিকেলটি ভালো লাগলে অবশ্যই শেয়ার করবেন, আর আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। আর আপনি যদি আপনার কোন লেখা প্রকাশ করতে চান তাহলে অবশ্যই আমাদের কন্টাক্ট পেজে গিয়ে ইমেইল করে আমাদেরকে জানিয়ে দিবেন।

2 মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন