কেয়া ফুল
কেয়া ফুল
কেয়া ফুল বাংলাদেশের একটি পরিচিত ও জনপ্রিয় ফুল। এটি বর্ষার ঋতুর সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। কেয়া ফুলের সুগন্ধ ও সৌন্দর্য আমাদের মনকে মুগ্ধ করে।
বৈজ্ঞানিক নাম: Pandanus tectorius
পরিবার: Pandanaceae
উৎপত্তি: মালয়েশিয়া, পূর্ব অস্ট্রেলিয়া, এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জ
কেয়া ফুলের বৈশিষ্ট্য:
- কেয়া ফুল সাধারণত লম্বায় ৩-৪ মিটার হয়।
- কাণ্ড গোলাকার ও কাটাযুক্ত।
- কাণ্ড থেকে শাখা-প্রশাখা বের হয়ে ঝোপালো হয়ে যায়।
- পাতাও লম্বায় ৩ থেকে ৪ মিটার লম্বা, চওড়া ৫ থেকে ৬ সেন্টিমিটার।
- জৈষ্ঠ্যমাসের শেষের দিকে ফুটতে শুরু করে আষাঢ় -শ্রাবণ মাসজুড়ে কেয়া ফুল ফোটে।
- নোনাপানির ধারঘেঁষে শ্বাসমূলে ঠেস দিয়ে যুথবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে থাকে কেয়া গাছ।
বর্ণনা:
কেয়া ফুল এক প্রকার গুল্মজাতীয় উদ্ভিদ। এটি সাধারণত লম্বায় ৩-৪ মিটার হয়। কাণ্ড গোলাকার ও কাটাযুক্ত। কাণ্ড থেকে শাখা-প্রশাখা বের হয়ে ঝোপালো হয়ে যায়। পাতাও লম্বায় ৩ থেকে ৪ মিটার লম্বা, চওড়া ৫ থেকে ৬ সেন্টিমিটার। পাতাগুলো মসৃণ ও পাতলা।
জৈষ্ঠ্যমাসের শেষের দিকে ফুটতে শুরু করে আষাঢ় -শ্রাবণ মাসজুড়ে কেয়া ফুল ফোটে। কেয়া ফুল সাধারণত সাদা রঙের হয়। তবে লাল, হলুদ, এবং বেগুনি রঙের কেয়া ফুলও দেখা যায়। কেয়া ফুলের পাপড়িগুলো ছোট ছোট ও সূক্ষ্ম।
ব্যবহার:
- কেয়া ফুলের সুগন্ধের জন্য এটি অত্যন্ত জনপ্রিয়।
- কেয়া ফুল থেকে কেওড়া তেল তৈরি করা হয়, যা সুগন্ধি, খাবার ও ওষুধ শিল্পে ব্যবহৃত হয়।
- কেয়া ফুল থেকে কেওড়া জল তৈরি করা হয়, যা খাবারের স্বাদ বাড়ানোর জন্য ব্যবহৃত হয়।
- কেয়া ফুলের পাতা পোকামাকড় দূর করতে ব্যবহৃত হয়।
- কেয়া ফুলের ফল খাওয়া যায়।
বাংলা সাহিত্যে কেয়া ফুল:
বাংলা সাহিত্যে কেয়া ফুলের উল্লেখ পাওয়া যায়। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর "নববর্ষা" কবিতায় কেয়া ফুলের উল্লেখ করেছেন। পল্লীকবি জসীমউদ্দীন তাঁর "কেয়াবন" কবিতায় কেয়া ফুলের উল্লেখ করেছেন।
কেয়া ফুলের গুরুত্ব:
কেয়া ফুলের গুরুত্ব অনেক। এটি আমাদের পরিবেশের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। কেয়া গাছ নোনাপানি সহ্য করতে পারে বলে এটি উপকূলীয় এলাকায় বাঁধের মতো কাজ করে। এছাড়াও, কেয়া গাছ মাটির ক্ষয় রোধে সহায়তা করে।
কেয়া ফুলের কিছু ঔষধি গুণ:
- কেয়া ফুলের রস সর্দি-কাশি দূর করতে সাহায্য করে।
- কেয়া ফুলের রস পেটের ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে।
- কেয়া ফুলের রস জ্বর কমাতে সাহায্য করে।
- কেয়া ফুলের রস চর্মরোগ দূর করতে সাহায্য করে।
কেয়া ফুলের কিছু ঐতিহ্যগত ব্যবহার:
- কেয়া ফুলের পাপড়ি দিয়ে মালা তৈরি করা হয়।
- কেয়া ফুলের পাপড়ি দিয়ে খাবার সাজানো হয়।
- কেয়া ফুলের পাতা দিয়ে ঝুড়ি, মাছ ধরার জাল, ইত্যাদি তৈরি করা হয়।
কেয়া ফুল আমাদের পরিবেশ ও সংস্কৃতির সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এটি একটি সুন্দর ও ঔষধি গুণসম্পন্ন ফুল।
আরো পড়ুনঃ লুব্রিকেন্ট জেল কিনতে এখনই ক্লিক করুন
আরো পড়ুনঃম্যাজিক কনডম কিনতে
এখনই
ক্লিক করুন
আরো পড়ুনঃ দ্রুত চিকন হওয়ার ওষুধ DETOXI
SLIM কিনতে এখনই
ক্লিক করুন
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন