হযরত সালেহ আঃ এর জীবনী
হযরত সালেহ আঃ ছিলেন হযরত নুহ আঃ এর বংশধর। তার সম্প্রদায়ের নাম ছিল সামুদ। সামুদ জাতি ছিল প্রাচীন আরব জাতিসমূহের একটি। তারা সৌদি আরবের উত্তর-পশ্চিম প্রান্তে হিজর নামক স্থানে বসবাস করত। সামুদ জাতি ছিল শক্তিশালী ও বীরের জাতি।
আরো পড়ুনঃ ২
পিস চামড়ার বেল্ট ৬০০ টাকা কিনতে এখনই ক্লিক
করুন
আরো পড়ুনঃ
মোটা হওয়ার ইন্ডিয়ান গুড হেলথ কিনতে এখনই ক্লিক
করুন
তারা প্রস্তর খোদাই ও স্থাপত্যবিদ্যায় বিশেষ পারদর্শিতা ছিল। পর্বত খোদাই করে তারা বাসস্থান নির্মাণ করত। মাদায়েনে সালেহ অঞ্চলে এখনও সেই আমলের স্থাপত্যের নিদর্শনাবলি ও সামুদি শিলালিপি বিদ্যমান রয়েছে।
সামূদ জাতি প্রথমে আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাসী ছিল। কিন্তু কালের বিবর্তনে এক সময় তারা আল্লাহ ও পরকালকে ভুলে যায় এবং মূর্তিপূজা শুরু করে এবং শিরকে লিপ্ত হয়। আল্লাহ তায়ালা স্বীয় চিরন্তন বিধান অনুযায়ী তাদের হেদায়েতের জন্য হযরত সালেহ আঃ কে নবী হিসেবে প্রেরণ করেন।
আরো পড়ুনঃ স্টিল হুক চামড়ার বেল্ট কিনতে এখনই ক্লিক করুন
হযরত সালেহ আঃ ছিলেন সম্ভ্রান্ত, বিচক্ষণ, প্রজ্ঞাময়, জ্ঞানী ও পণ্ডিত ব্যক্তি। তিনি ছিলেন একজন বিশুদ্ধভাষী এবং উচ্চকণ্ঠের বাগ্মী। বড় বড় সমাবেশে তিনি দাওয়াতের কাজ করতেন। যুক্তির নিরিখে দরদি কণ্ঠে আল্লাহর বাণীসমূহ শুনাতেন। মূর্তিপূজার কঠিন পরিণতির কথা বলতেন। আখেরাতের কথা শুনাতেন।
সামূদ জাতির লোকেরা হযরত সালেহ আঃ এর দাওয়াত শুনে প্রথমে বিস্মিত হয়। এরপর তারা তাকে ঠাট্টা-বিদ্রুপ ও অপমান করতে শুরু করে। তারা বলে, “আমরা তোমার কথা বিশ্বাস করি না। তুমি আমাদের মতো একজন মানুষ মাত্র। তুমি আমাদেরকে আমাদের পূর্বপুরুষদের ধর্ম থেকে ফিরিয়ে নিতে চাইছ।”
হযরত সালেহ আঃ তাদেরকে ধৈর্য ধারণ করতে বলেন এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করার জন্য বলেন। তিনি বলেন, “আল্লাহ যদি তোমাদেরকে ক্ষমা করে দেন, তাহলে তোমরা সফলকাম হবে। কিন্তু যদি তিনি তোমাদেরকে শাস্তি দেন, তাহলে তোমরা আমার কাছে কোন সাহায্য পাবে না।”
সামূদ জাতি হযরত সালেহ আঃ এর দাওয়াত প্রত্যাখ্যান করে। তারা তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করে। তারা তাকে হত্যার চেষ্টা করে। কিন্তু হযরত সালেহ আঃ আল্লাহর সাহায্যে তাদের সকল ষড়যন্ত্র থেকে রক্ষা পান।
অবশেষে, সামুদ জাতির অত্যাচার ও অবিচারের মাত্রা যখন চরম পর্যায়ে পৌঁছায়, তখন আল্লাহ তাদেরকে কঠিন শাস্তি দেন। তিনি তাদেরকে ভূমিধসের মাধ্যমে ধ্বংস করে দেন।
হযরত সালেহ আঃ এর ঘটনা থেকে আমরা শিক্ষা নিতে পারি যে, আল্লাহর রাসূলের দাওয়াত প্রত্যাখ্যান করা কখনোই মঙ্গলজনক নয়। আল্লাহর রাসূলের দাওয়াত গ্রহণ করে আল্লাহর ইবাদত করাই হলো একমাত্র সফলতার পথ।
আরো পড়ুনঃ লুব্রিকেন্ট জেল কিনতে
এখনই
ক্লিক করুন
আরো পড়ুনঃম্যাজিক কনডম কিনতে
এখনই
ক্লিক করুন
আরো পড়ুনঃ দ্রুত চিকন হওয়ার ওষুধ DETOXI
SLIM কিনতে এখনই
ক্লিক করুন
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন