সংবাদ প্রতিবেদন লেখার নিয়ম

সংবাদ প্রতিবেদন লেখার নিয়ম


সংবাদ প্রতিবেদন লেখার নিয়ম সাধারণত নাগরিক জীবনের বিভিন্ন সমস্যা, কোথাও ঘটে যাওয়া জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ কোনো ঘটনা, দুর্ঘটনা, বিষয় বা প্রসঙ্গ সম্পর্কে তথ্যমূলক বিবৃতি লিখনই সংবাদ প্রতিবেদন । এক্ষেত্রে আমরা হয়ে যাই কোনো পত্রিকার সাংবাদিক অর্থাৎ নিজস্ব সংবাদদাতা/ স্টাফ রিপোর্টার/ নিজস্ব প্রতিবেদক বা কোনো জেলা/ থানা প্রতিনিধি । একজন রিপোর্টার হিসেবে সংবাদপত্রে প্রকাশ উপযোগী করে এ ধরনের প্রতিবেদন লিখতে হয় ।  মোটা ও লম্বা হওয়ার ঔষধ   মাত্র ২২০ টাকা থেকে শুরু ঔষধ কিনতে ক্লিক করুন  - এখনই ঔষধ কিনুন


সংবাদ প্রতিবেদন লেখার নিয়ম


 সংবাদ প্রতিবেদন লেখায় বিবেচ্য বিষয়সমূহ 

 ক. সংবাদ প্রতিবেদন লিখতে সম্পাদক/ কর্তৃপক্ষের কাছে কোনো আবেদনপত্র লিখতে হয় না । 

খ. হেডলাইন( শিরোনাম) দিয়ে প্রতিবেদন লেখা শুরু করতে হয় । 

 গ. এরপর ডেটলাইন( প্রতিবেদকের নাম/ পদবি, তারিখ ও স্থান) লিখে প্রথম অনুচ্ছেদ লিখতে হয় । 

 ঘ. প্রথম অনুচ্ছেদের( Intro) পর একাধিক অনুচ্ছেদে ধারাবাহিকভাবে পুরো বিষয়টি বর্ণনা করতে হয় । 

 ঙ. মূল প্রতিবেদন লেখা শেষে ‘ বিনীত নিবেদক ’, ‘ প্রতিবেদক ’, ‘ ইতি ’- এ ধরনের কথাগুলো লেখা যাবে না । 

চ. প্রতিবেদন লেখায় কোনো খাম দিতে হয় না । তবে প্রতিবেদন লেখা শেষে প্রতিবেদক ও প্রতিবেদন সম্পর্কিত একটি তথ্য- ছক দেওয়া যেথে পারে । 

 ছ. সংবাদ প্রতিবেদন লিখনে প্রতিবেদককে অবশ্যই নিরপেক্ষ, নির্মোহ ও নৈর্ব্যক্তিক হতে হবে । 

 

সংবাদ প্রতিবেদন লেখার নিয়ম

আরও পড়ুন: মাথা ব্যথার ১০ টি ঔষধের নামের তালিকা

আরো পড়ুনঃ কাশির ১০ টি ঔষধের নাম দাম জেনে নিন

 

আরো পড়ুনঃ  ঘুমের ঔষধের নাম ছবি দেখে নিন

আরও পড়ুন: সর্দির ১০ টি ভালো ঔষধ নাম


শিরোনাম ছাড়া সংবাদ প্রতিবেদন হয় না । এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ । খবরের একটি সংক্ষিপ্ত বিষয়বস্তু শিরোনামে প্রকাশ পায় । শিরোনাম দেখেই পাঠক সিদ্ধান্ত নেন, খবরটি তিনি পড়বেন কি- না । প্রতিবেদকের নাম বা পদবী, প্রতিবেদন তৈরির স্থান ও মূলঘটনার একটা সংক্ষিপ্ত বিবরণ দিয়ে শুরু হয় সংবাদ প্রতিবেদন । এটা দু ’ তিন লাইনের মধ্যে শেষ হয়ে থাকে ।

 এরপরের অংশে বিস্তারিত বর্ণনা লিখতে হয় । সংবাদ প্রতিবেদন লেখার সুবিধা হলো- এতে শুধু শিরোনাম লিখেই সরাসরি মূল লেখায় চলে যাওয়া যায় । এ ধরনের প্রতিবেদন লিখতে গিয়ে সম্পাদকের নিকট আনুষ্ঠানিক পত্র কিংবা খাম আঁকার প্রয়োজন নেই । প্রশ্নে সংবাদপত্র বা প্রতিবেদকের নাম থাকলে সেটা অনুসরণ করতে হবে । আর তা না থাকলে কাল্পনিক নাম ব্যবহার করা যেতে পারে । 


উদাহরণ হিসেবে নিচের প্রতিবেদনটি লক্ষ করো । 

 তোমার এলাকায় লোডশেডিং ও বিদ্যুৎ বিভ্রাট সম্পর্কে একটি সংবাদ প্রতিবেদন রচনা করো । 

বিদ্যুৎ বিভ্রাটে জনগণের নাভিশ্বাস 


নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা, ০৮ আগস্ট, ২০২১ । । 


লোডশেডিং ঢাকা শহরের নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা । কিন্তু বর্তমানে গরমের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে লোডশেডিং এর তীব্রতা । ঢাকা শহরে বিদ্যুৎ এই আসে, এই যায় । বিশেষ করে ঢাকার বনশ্রী, মুগদা, মাদারটেক, ডেমরা, যাত্রাবাড়ি, ধানমন্ডি প্রভৃতি কিছু স্থানের চিত্র ভয়াবহ । 

 

পুরো দিনে এইসব এলাকায় দশ ঘণ্টাও বিদ্যুৎ থাকে কিনা বলা দুষ্কর । ঢাকা শহরে বিদ্যুৎ সার্বক্ষণিক প্রয়োজনীয় একটি জিনিস । দিনে বা রাতে যে কোন সময়েই হোক, বিদ্যুতের অনুপস্থিতি আধুনিক জীবনে হাজার সংকট ও সমস্যার সৃষ্টি করে । রাষ্ট্রীয়, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক সকল ক্ষেত্রে প্রতিটি মুহূর্তে বিদ্যুতের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য ।

 বিদ্যুৎ ছাড়া কলকারখানা, ব্যবসা- বাণিজ্য, অফিস- আদালত অচল । দেশের চাহিদামাফিক বিদ্যুৎ এখনো উৎপাদন করা সম্ভব হয়নি । যার কারণে বিদ্যুৎ সমস্যা জনজীবনে তৈরি করেছে নানা দুর্ভোগ । ছাত্রছাত্রীদের পড়ালেখার নিরন্তর ব্যাঘাত ঘটছে । বিদ্যুৎ না থাকলে সুষ্ঠু পানি সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হয় । অনেক সময় লো- ভোল্টেজের কারণে ফ্রিজ, ফ্যান, এসি ইত্যাদি অচল হয়ে যাচ্ছে । কারখানার উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, হাসপাতালের চিকিৎসার ব্যাঘাত ঘটছে । 


বিজিএমইএ ’ র সাম্প্রতিক এক বিবরণে জানা যায়, বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে শুধু তৈরি পোশাক খাতেই বাংলাদেশ প্রতিদিন প্রায় ১৬ লাখ ডলার আর্থিক ক্ষতির শিকার হচ্ছে । এ হিসেবে বছরে দেশের মোট ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ১৫০০ কোটি টাকা ।

 বিদ্যুৎ সমস্যা ও এর কারণে সৃষ্ট আর্থিক ক্ষতি নিয়ে লেখালেখি কম হয় নি । কিন্তু পরিস্থিতির তেমন কোন উন্নতি হয় নি । এ সংকটের পেছনে বিদ্যুৎ সংশ্লিষ্ট সংস্থাটির এক শ্রেণির কর্মকর্তাদের চরম দুর্নীতির ব্যাপারও কম দায়ী নয় । দৈনিক জনকণ্ঠে কিছুদিন আগে এ ব্যাপারে প্রকাশিত এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, ডেসা ’ র এক শ্রেণির কর্মীদের সহায়তায় চলছে বিদ্যুৎ চুরির মহোৎসব । 

 

দুর্নীতিবাজ কর্মী ও গ্রাহকের যোগসাজশে মাসে অন্তত ৬ কোটি ইউনিট বা গড়পড়তায় ১৫ কোটি টাকার বিদ্যুৎ চুরি হচ্ছে । বিদ্যুতের অভাবে যেখানে মানুষের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে, সেখানে এ ধরনের চুরিকে প্রশ্রয় দেওয়া কোনভাবে মেনে নেওয়া যায় না । এ ব্যাপারে সরকারের কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের সময় এসে গেছে । অনতিবিলম্বে ক্রমবর্ধমান বিদ্যুৎ সমস্যা থেকে দেশবাসীকে বাঁচাতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে সচেতনমহল । 


 প্রতিবেদকের নাম ও ঠিকানা রায়হান জামিল, দোহার ঢাকা 

 প্রতিবেদনের শিরোনাম বিদ্যুৎ বিভ্রাটে জনগণের নাভিশ্বাস 

প্রতিবেদন তৈরির সময় সন্ধ্যা ৬০০টা 

 প্রতিবেদন তৈরির তারিখ ২০ নভেম্বর, ২০২১ খ্রি. 


 পতিতপাবন মণ্ডল( পাবন) 

 বাংলা বিভাগীয় প্রধান 

 সেন্ট গ্রেগরী হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা- ১১০০ 


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন