যে দেশে কুমারী মেয়ের বিয়ে হয় না , পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের যত অদ্ভুত যৌনরীতি

অদ্ভুত যৌনরীতি


 হ্যালো বন্ধুরা পৃথিবীর নানান দেশে যৌনতা নিয়ে আছে নানান রীতি এবং প্রথা,  পৃথিবীতে এমন কিছু দেশ আছে যেখানে কুমারী মেয়েদের কখনো বিয়ে দেয়া হয় না। বিয়ের পূর্বে তাদের পুরুষের সাথে  সঙ্গম করে কুমারীত্ব হারাতে হয়। 

 তাদের কাছ থেকেই শিখে নিতে হয় যৌন জীবনের খুঁটিনাটি বিষয়গুলো,  যে যত বেশি পুরুষের সাথে দৈহিক মিলন করেছে সে ততো ভালো পাত্রী হিসেবে বিবেচিত হয়।  আর আর্শ্চযের বিষয় হলো মেয়ের বাবাই মেয়েকে এ সকল পিতৃসম পুরুষের হাতে তুলে দিয়ে আসেন। 

 বন্ধুরা আজকে আমরা এমন কয়েকটি দেশ সম্পর্কে বলব যেখানেই যৌনতা নিয়ে এমন সব অদ্ভুদ নিয়ম রয়েছে যেগুলো শুনলে আপনার কানও হয়তো বিশ্বাস করতে চাইবে না। 

 তো চলুন জেনে নেয়া যাক পৃথিবীর এমন সব অদ্ভুত দেশ সম্পর্কে আর আপনি যদি আমাদের চ্যানেলে নতুন হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে পাশে থাকা বাটনটি বাজিয়ে দেবেন। 


১, প্রাচীন মিশর

তালিকার প্রথমেই রয়েছে প্রাচীন মিশরের নাম আমরা জানি পৃথিবীর প্রাচীন সফল সভ্যতার একটির নাম মিশরীয় সভ্যতা, কিন্তু এই প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতায় ছিল অনেক কুসংস্কার।

প্রাচীন মিশরের অধিবাসীদের হস্তমৈথুনের প্রতি ভয়ানক আকর্ষণ ছিল, তারা বিশ্বাস করত নীল নদের জোয়ার ভাটা নির্ভর করে , সৃষ্টির দেবতার বীর্য নির্গমণের ওপর । 

এ সময় দলবেঁধে নীল নদের জলে নেমে হস্তমৈথুন করার প্রথা প্রচলিত ছিল । হাজার হাজার পুরুষ একত্রে দলবেঁধে বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে, নেচে গেয়ে , হস্তমৈথুন করতে চলে যেতেন নীল নদের তীরে। নীল নদের জলে বীর্যপাত করার ফলে নীল নদের জলের ফসল ফলানোর ক্ষমতা বৃদ্ধি পেত। এছাড়া ফারাওদের যৌনক্ষমতা বৃদ্ধিকারী দেবতা' মিন - এর কৃপা লাভের জন্য বাৎসরিক উৎসবের সময় পুরুষরা জনসমক্ষে হস্তমৈথুন করতেন ।


২, ট্রোবায়ান্ড দ্বীপপুঞ্জ 

প্রশান্ত মহাসাগরের সাড়ে চারশ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে আছে ট্রোবায়ান্ড দ্বীপমালা । পাপুয়া নিউগিনির অন্তর্গত এই দ্বীপগুলোতে বাস করে ট্রোবায়ান্ডার নামের এক ধরনের উপজাতি। ঘন জঙ্গলের মাঝে বাস করা উপজাতিটি কিলিভিলা ভাষায় কথা বলে তারা উর্বর সমতল জমিতে চাষাবাদ করে থাকে। সেই ফসল তারা বিক্রি করে আশপাশের দ্বীপগুলোর মানুষের কাছে। কুলা ' নামে এক ধরনের ঝিনুকের চকচকে খোলা এদের কাছে টাকা। 


এই কুলার বিনিময়েই চলে এদের বাণিজ্য। অত্যন্ত অল্প বয়সে এই উপজাতির ছেলেমেয়েরা প্রবেশ করে যৌনজীবনে। ছেলেরা দশ - বার বছর এবং মেয়েরা পাঁচ বছর বয়সেই জড়িয়ে পড়ে শারীরিক সম্পর্কে। বয়স্কদের সামনে দিয়েই বালক বালিকারা দল বেঁধে জঙ্গলে চলে যায় যৌনমিলন করতে কেউ  তাদের  বাধা দেয় না। সব চেয়ে অবাক করা তথ্য , এইটুকু বয়সেই তারা তাদের ইচ্ছে মতো যৌনসঙ্গী নির্বাচন ও পরিবর্তন করতে পারে। শুনলে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। এই কাজের জন্য তাদের কোনো শাস্তিও পেতে হয় না । কারণ ট্রোবায়ান্ডারদের সমাজ যৌনতাকে খাবার খাওয়ার মতোই স্বাভাবিক ও বাধ্যতামূলক বলে মনে করে। 

৩, কালাশ উপত্যকা

পাকিস্তানের উত্তর - পশ্চিমে অবস্থিত খাইবার - পাখতু খোয়া প্রদেশে আছে হিন্দুকুশ পর্বতশ্রেণি, একে গ্রীকরা বলতেন ককেশাস ইণ্ডিকাস। সেই হিন্দুকুশ পর্বতশ্রেণির দুর্গম এলাকায় বাস করে এক স্বাধীনচেতা প্রাচীন শেতাঙ্গ জনজাতি। যাদের নাম কালাশ। এদের চুলের রং সোনালি এবং চোখের মণি নীল। 


এই জাতির মানুষগুলোর সঙ্গে পাকিস্তানের মানুষদের চেহারা, ধর্ম, সংস্কৃতি, সমাজব্যবস্থা ও খাদ্যাভাসের বিন্দুমাত্র মিল নেই। কালাশদের দেখলে মনে হবে তারা ইউরোপের মানুষ। এই কালাশদের সমাজে একটি অদ্ভুত রীতি আছে । 

ছেলেদের বয়স পনেরো বছর হলেই , গ্রীষ্মকালে ভেড়ার পাল দিয়ে ছেলেটিকে পাঠিয়ে দেয়া হয় বরফ ঢাকা উচু পাহাড়ে। পাহাড়ের গুহায় নিজের আশ্রয় খুঁজে নিতে হয় কিশোরকে। খুঁজে নিতে হয় জলের উৎস। কেবলমাত্র ভেড়ার দুধ বা ঝলসানো মাংস খেয়ে কিশোরটিকে বেঁচে থাকতে হয় মাসের পর মাস। একটি কিশোরের পক্ষে ওই দুঃসহ পরিবেশ ও আবহাওয়ায় টিকে থাকা খুবই কঠিন । শীতকাল আসার আগে অবশিষ্ট ভেড়াগুলোকে নিয়ে গ্রামে ফিরে আসতে হয় কিশোরটিকে । কেউ বেঁচে ফেরে কেউ ফেরে না ।

আরো  খবর পরুনঃ

বিশ্বের ব্যয়বহুল ১০ টি শহর সম্পর্কে জেনে নেই…….

বাংলাদেশর  শীর্ষ ১০ টি ওয়েবসাইট সম্পর্কে জেনে নিন……..

যে কিশোর গ্রামে ফিরে আসে , তার সাবালকত্ব লাভ করাকে উদযাপন করার জন্য গ্রামে শুরু হয় বাদুলাক উৎসব ' । উৎসবের শেষে গ্রামের যেকোনো বিবাহিত বা অবিবাহিত নারীর সঙ্গে যৌনমিলন করার সুযোগ দেয়া হয় কিশোরটিকে। গ্রামের নারীরাও মুখিয়ে থাকেন সদ্য সাবালক হওয়া কিশোরটির সঙ্গে যৌনমিলন করার জন্য।

 পছন্দ করা নারীকে নিয়ে কিশোরকে চলে যেতে হয় গ্রামের বাইরে। সেখানে থাকা একটি বাড়িতে উদ্দাম যৌনমিলনে মেতে ওঠে দুজন। যতদিন কিশোরের খুশি ততদিন সে চালাতে পারে তার প্রথম যৌন সম্পর্ক। ফলে প্রায় সারা শীতকালই উষ্ণতায় কাটায় সদ্য সাবালক হওয়া কিশোরের। শীত কমলে ফিরে আসে গ্রামে।


৪, ইনিস বিয়েগ

আয়ারল্যান্ডের সমুদ্রে ভাসছে  ছোট্ট এক দ্বীপ ইনিস বিয়েগ । ‘ইনিস বিয়েগ ’শব্দটির অর্থই হল ' ছোট্ট দ্বীপ। এই দ্বীপে বাস করেন আইরিশ ভাষায় কথা বলা প্রায় সাড়ে তিনশ ক্যাথলিক খ্রিস্টান। কয়েক শতাব্দী ধরেই তারা আয়ারল্যান্ডের মূলস্রোত থেকে নিজেদের বিচ্ছিন্ন করে রেখেছেন। মূলত চাষাবাদ , পশুপালন ও সমুদ্রে মাছ ধরে জীবন কাটিয়ে দেন তারা । 

ইনিস বিয়েসে বসবাসকারী মানুষরা সারা পৃথিবীর মধ্যে কঠোরতম রক্ষণশীলতার মধ্যে বাস করেন। যৌনতাকে এখানে কঠোরভাবে দমন করা হয়। কারণ যৌনতাকে ' অশুভ ' বলে মনে করা হয় । একমাত্র সন্তান উৎপাদনে প্রয়োজনেই যৌনমিলনে লিপ্ত হন স্বামী স্ত্রীরা । স্ত্রীর গর্ভে সন্তান এসে গেলে চিরজীবনের জন্য যৌনতাকে বিসর্জন দেন স্বামী - স্ত্রী। ইনিস বিয়েপ ' এ হস্তমৈথুন , পায়ুকাম , মুখমৈথুন ও সমকামিতা নিষিদ্ধ। 

বিয়ের আগের যৌনমিলনের কথা কেউ ভাবতেই পারেন না। এমনকি প্রেমিক প্রেমিকারা পরস্পরকে আদর বা চুম্বন করার কথাও ভাবতে পারেন না। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হল বিবাহিত দম্পতিরা যৌনমিলনের সময়ও সম্পূর্ণ নগ্ন হন না। গাঢ় অন্ধকারে এবং পুরো পোশাক পরে , কেবলমাত্র যৌনাঙ্গ উন্মুক্ত রেখে যৌনমিলনে লিপ্ত হওয়াটাই ইনিস বিয়েপ ' দ্বীপের রীতি। 


বন্ধুরা এমন সব তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি বা ইউটিউব চ্যানেলটি আপনারা ভিজিট করতে পারেন, আপনাদের জন্যই আমাদের এই ভিডিওগুলো তৈরি করা হয়, তো অবশ্যই আমাদের সাথে থাকবেন ভালো থাকবেন আর আপনার মন্দলাগা গুলো আমাদের সাথে কমেন্টের মাধ্যমে শেয়ার করতে পারেন।

আরো  খবর পরুনঃ

বিশ্বের ব্যয়বহুল ১০ টি শহর সম্পর্কে জেনে নেই…….

বাংলাদেশর  শীর্ষ ১০ টি ওয়েবসাইট সম্পর্কে জেনে নিন……..

বিশ্বের দ্রুতগতির ১০টি বুলেট ট্রেন সম্পর্কে জেনে নিন…….

বিশ্বের সের ১০ জন ধনী ব্যক্তির তালিকা…….


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন