গর্ভবতী মায়ের প্রথম তিন মাসের খাবার তালিকা

গর্ভবতী মায়ের প্রথম তিন মাসের খাবার তালিকা


গর্ভবতী মায়ের প্রথম তিন মাসের খাবার তালিকা: সাধারণ অবস্থার চেয়ে একজন মায়ের গর্ভবতী অবস্থায় খাদ্যাভ্যাস খাদ্য তালিকায় পরিবর্তন করা খুবই জরুরী। সাধারন সময় আপনার খাদ্য যেমন শুধুমাত্র আপনার ওপর ভূমিকা রাখে কিন্তু গর্ভাবস্থায় আপনার খাদ্য তালিকা আপনার সন্তানের উপর বিশেষ ভূমিকা রেখে থাকে।  এজন্য বিশেষজ্ঞরা গর্ভাবস্থায় খাদ্যভ্যাস কিংবা খাদ্য তালিকা মেনে চলার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। 


 চলুন আজকে জেনে নেই গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মায়ের প্রথম তিন মাসের খাবার তালিকা এ সম্পর্কে বিস্তারিত খুঁটিনাটি যেগুলো গবেষক বিশেষজ্ঞরা গর্ভবতী মায়েদের মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছেন

গর্ভবতী মায়ের খাবার তালিকা


গর্ভবতী মায়ের প্রথম তিন মাসের খাবার তালিকা এ সম্পর্কে বিশেষজ্ঞরা মায়েদের মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছেন 

প্রথমত; রোজ সাধারণ খাবার সাথে অতিরিক্ত পুষ্টি যুক্ত খাবার খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করুন এজন্য একগ্লাস দুধ দুটি অতিরক্ত রুটি ছাড়াও তাজা শাক-সবজি ফলমূল ইত্যাদি খেতে পারেন। মনে রাখবেন এগুলো নিয়মিত নয় বরঞ্চ আপনি নিয়মিত চা খেতে তার থেকে একটু বেশি খাওওয়ার চেষ্টা করবেন। 

দ্বিতীয়তঃ গর্ভাবস্থায় আপনি বেশি বেশি জল পান করুন স্বাভাবিক অবস্থায় যত বেশি জল খেতে গর্ভাবস্থায় তার থেকে আরও বেশি খাওয়ার চেষ্টা করুন যদি ইচ্ছা না হয় তাহলে আস্তে আস্তে এর পরিমাণ বাড়াতে চেষ্টা করুন। বেশি জল খাওয়ার জন্য জল জাতীয় খাবার যেমন বিভিন্ন প্রকার পুষ্টিকর  ড্রিংস নানাপ্রকার ফলমূলের জুস খাওয়ার চেষ্টা করুন তবে এসব নিচে ঘরে তৈরি করে খাওয়া সবচাইতে উত্তম। 

👉 ত্বক ফর্সাকারী ডিউ ক্রিম এখন মাত্র 350 টাকায় আজই কিনুন।


 তৃতীয়তঃ  গর্ভঅবস্থায় যতটা সম্ভব বাহিরের খাবার এড়িয়ে চলুন ঘরে রান্না করা খাওয়ার অভ্যাস করুন কেননা বাইরের খাবার অস্বাস্থ্যকর এবং নানান প্রকার কেমিক্যাল মিশ্রিত যুক্ত মসলা দিয়ে তৈরি করে থাকে। সব সময় বাসায় তৈরি করা খাওয়ার চেষ্টা করুন এছাড়াও সব সময় টাটকা জাতীয় খাবার খান একবার খাবার খাওয়ার অভ্যাস পরিত্যাগ করতে হবে বিশেষ করে গর্ভাবস্থা ও গর্ভকালীন সময়ে।

👉👉 ছেলে সন্তান লাভের উপায়পুত্র সন্তান লাভের উপায় ?

চতুর্থত;  গর্ভ অবস্থায় কিছু অতিরিক্ত খাবারের দরকার পড়ে এর মধ্যে একটি হলো ফুলের বা ফলিক এসিড। প্রতিদিনকার ওষুধের পাশাপাশি সবজি থেকে খানিক ফলেট পেতে পারেন আপনি ফুলের প্রাকৃতিক উপাদানগুলো থেকে পাওয়ার জন্য আপনার খাদ্যতালিকায় প্রতিদিন রাখুন করোলা ক্যাপসিকাম ব্রোকলিঃ মেথি পুদিনা পাতা ধনেপাতা বাদাম কিসমিস ইত্যাদি। এসকল এর বাহিরেও আপনি ফলিক এসিড এর চাহিদা পূরণ করতে চাইলে বাজার থেকে কিনে আনা ঔষধ সেবন করতে পারেন তবে গর্ভাবস্থায় ঔষধ সেবন করার চাইতে প্রাকৃতিক ফলমূল-শাকসবজি সমৃদ্ধ খাবার থেকে পুষ্টি সংগ্রহ করা সবচাইতে উত্তম। 


 পঞ্চমত;  গর্ভাবস্থায় পেঁপে আনারস এগুলো এড়িয়ে চলতে হবে এর সাথে এড়িয়ে চলতে হবে কাঁচা বা আধা সিদ্ধ প্রোটিন যেমন মাছ মাংস ডিম মাছ মাংস ডিম খাওয়া যাবে তবে এগুলো খাওয়া যাবে না।  অনেকেই অল্পস্বল্প মার খেতে ভালোবাসেন অনেকেই হাফ বয়েল ডিম খেতে চাই এগুলো প্রোটিনের অনেক বড় একটি উৎস তবে গর্ভাবস্থায় প্রোটিনযুক্ত খাবার গুলো পুরোপুরি সিদ্ধ করে খাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ।  এজন্য সব সময় লক্ষ রাখবেন আপনার খাদ্যতালিকায় প্রোটিনযুক্ত যে সকল খাবার রয়েছে সেগুলো ভালো করে রান্না করা হয়ছে কি না। 


 ষষ্ঠতঃ প্রকৃতি থেকে পুষ্টিকর খাবার খাওয়া যেমন স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী এর বাহিরেও কিছু পুষ্টিকর খাবার খেতে পারেন এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো গলানো চিজ মেওয়ানিজ।  যদিও প্রাথমিক অবস্থায় এসকল খেতে একটু অরুচির লাগতে পারে তবে আস্তে আস্তে খাওয়ার চেষ্টা করুন ? 


গর্ভবতী মহিলারা কি ফলের রস পান করতে পারেন

আপনি যদি হবু মা হয়ে থাকেন তবে তাজা চাপ দিয়ে তৈরি রস না খাওয়া ভাল ধারণা হতে পারে। গর্ভবতী মহিলাদের দৃঢ়ভাবে পরামর্শ দেওয়া হয় যে তাজা চাপ থেকে সৃষ্ট রস এড়ানো উচিত কারণ নন-পেস্টুরাইজড রস হজমজনিত অসুস্থতার কারণ হতে পারে। সুতরাং আপনি যখন ফলের রস খাচ্ছেন তখন নিশ্চিত হয়ে নিন যে এটি পেস্টুরাইজড হয়েছে।


যদি আপনি এক গ্লাস রসের জন্য আগ্রহী হন, তবে আলুবোখরার রস পান করতে পারেন কারণ এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়তা করতে পারে। এমনকি আপনি কিছু ভিটামিন-সি রস পান করার চেষ্টা করতে পারেন যাতে ফোলিক অ্যাসিড রয়েছে এবং স্পিনা বিফিডার মতো পরিস্থিতি প্রতিরোধ করার সময় আপনার ভ্রূণটিকে স্বাভাবিকভাবে বিকাশ করতে সক্ষম করতে পারে। তবে সামগ্রিকভাবে, সব প্রত্যাশিত মহিলাদের ফলের রস এড়ানো ভাল ধারণা।


গর্ভাবস্থায় কোন ফলগুলি নিরাপদ

গর্ভবতী অবস্থায়, আপনি খেতে পারেন এমন কয়েকটি ফলের মধ্যে রয়েছে আপেল, ডালিম, নাশপাতি, আম, কমলালেবু, অ্যাভোকাডো এবং পেয়ারা। তবে আপনার যদি কোনও স্বাস্থ্যের সমস্যা থাকে তবে আপনার এগুলি সংযতভাবে গ্রাস করা উচিত। আরও ভাল বিকল্প হল যে কোনও খাবার শুরু করার আগে একজন চিকিৎসক বা পুষ্টিবিদের সাথে পরামর্শ করা।

প্রথম তিন মাসে মায়ের দেহে পরিবর্তন সমূহ


প্রথম তিন মাসে মায়ের দেহে পরিবর্তন সমূহ

মেয়ে, বোন/ দিদি, বান্ধবী, প্রেমিকা, স্ত্রী, পুত্রবধূর মতো বিশেষণগুলি পেরিয়ে এবার সবচেয়ে প্রিয় ডাকটা শোনার পালা। মা! যার জন্য এত প্রতীক্ষা, সে যে সহজে, বিনা ঝঞ্ঝাটেই চলে আসবে, এ কথা ভাবা বোকামির সমান। গর্ভকালে পুঁচকেটার আগমনের প্রস্তুতি হিসেবে নানা পরিবর্তন হবে আপনার শরীরে। যার জেরে রীতিমতো কাহিল অবস্থাও হতে পারে আপনার! ঘাবড়ে যাবেন না, আপনাকে ফের একবার সচেতন করে দিতেই নীচের এই পয়েন্টগুলো লিখে দিলাম…


হরমোনের পরিমাণ, ধরন বদলে শরীরে নানা পরিবর্তন হবে। বাইরে থেকে এর আভাস না পেলেও ভিতর ভিতর টের পাবেন ভালোই।

প্রেগনেন্সি হরমোনের মাত্রা বৃদ্ধির ফলে বমিবমি ভাব ও বমির সমস্যা দেখা দিতে পারে। কারও কারও নির্দিষ্ট কোনও গন্ধের প্রতি সংবেদনশীলতা তৈরি হতে পারে!

এছাড়াও দিনভর দুর্বল অনুভব করা, স্তন নরম হওয়া ও ফুলে যাওয়া, পেট খারাপ হওয়া, খাবারে অরুচি বা খুব বেশি খিদে পাওয়া, মেজাজের পরিবর্তন, কোষ্ঠকাঠিন্য, বুক জ্বালাপোড়া করা, ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া, মাথাব্যথা ইত্যাদি তো রয়েছেই।

ডাক্তারের পরামর্শ মতো চললে, নিয়মিত চেকআপ করালে এসবের থেকে কিছুটা আরাম আপনি পেতেই পারেন। বাকিটা মনের জোর!

গর্ভাবস্থার প্রথম তিনটে মাস নিয়ে আপনাদের যাবতীয় সংশয়ের সমাধান আশা করি করতে পারলাম। যেটুকু বাকি রইল, তা নিয়ে না হয় সরাসরিই কথা হবে!

কী জানেন, শুধু এই তিনটে মাস বলে নয়, মাতৃত্বের গোটা পথটাই বড্ড চড়াই-উতরাইয়ে ভরা। মা তো কেবল একটা ডাক বা অনুভূতি নয়! এ এক বিশাল দায়িত্ব। তরুণী বধূ আদৌ মা হওয়ার যোগ্য কি না, শারীরিক/মানসিক সব কারসাজির মধ্যে দিয়ে তারই বোধহয় পরীক্ষা নিচ্ছে কেউ…

👉👉 সন্তানের রোগ মুক্তির দোয়া আরবি বাংলায় উচ্চারণ সহ

👉👉 দোয়া কুনুত এর আরবি এবং বাংলা উচ্চারণ অর্থ

👉👉 সাইয়েদুল ইস্তেগফার , ক্ষমা প্রার্থনার শ্রেষ্ঠ দোয়া আরবী

👉👉 আয়াতুল কুরসি, বাংলা উচ্চারণ অর্থ ফজিলত

👉👉 ছেলে সন্তান লাভের উপায়, পুত্র সন্তান লাভের উপায় ?


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন