জুমার দিনের ফজিলত ও গুরুত্ব ও তাৎপর্য জেনে নেই

 



জুমার দিনের ফজিলত ও গুরুত্ব ও তাৎপর্য জেনে নেই। 


বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে জুমার দিন বলতে শুক্রবার কে বলা হয়। একইসাথে শুক্রবার বাংলাদেশের সাপ্তাহিক ছুটির দিন। বাংলাদেশের শুক্রবার দিন জুম্মার দিনের একটি আলাদা বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। 


কিন্তু সারা বিশ্বে মুসলিম উম্মাহ কাছে এই দিনটির গুরুত্ব ও ফজিলত অনেক বেশি। মুসলিম উম্মাহ এই দিনটিকে সপ্তাহের সবচেয়ে উত্তম দিন সরদার দিন হিসেবে মেনে আসছে। 


পবিত্র কুরআনুল কারীমে জুমআ' নামে একটি সূরা রয়েছে। এটি পৃথিবীর অন্যতম তাৎপর্যবহ দিবস এই দিনে মহান আল্লাহতালা সৃষ্টির পূর্ণতা দান করেছিলেন। 


হযরত আবু হুরায়রা রাদিআল্লাহু তা'য়ালা থেকে বর্ণিত তিনি বলেন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন আমরা শেষে এসেছি কিন্তু নেয়ামতের দিক থেকে আমরা সবার আগে থাকবো। যদিও অন্যের ধর্ম গ্রন্থ গুলো আমাদের আগে এসেছে কিন্তু আমরা তাদের থেকে অনেক আগে থাকবো। অতঃপর জেনে রাখো এই দিনটি আল্লাহ আমাদের দান করেছেন 


তিনি এ ব্যাপারে আমাদের সঠিক পথের দিশা দিয়েছেন আর অন্য লোকেরা এ ব্যাপারে আমাদের পিছনে রয়েছে। ইহুদীরা জুমার পরের দিন উদযাপন করে আর খ্রিস্টানরা তার পরের দিন অর্থাৎ রবিবার উদযাপন করে। 



শুক্রবার দিন জোহরের নামাজের পরিবর্তে জুমার নামাজ ফরজ করা হয়েছে জুমার দুই রাকাত ফরজ নামাজে ইমামের খুতবা কে জোহরের চার রাকাত ফরজ নামাজের স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছে। এইদিন ইমাম সাহেব খুতবার মাধ্যমে মুসলিম উম্মাহর যাবতীয় প্রয়োজনীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কোরআন ও হাদিসের আলোকে নির্দেশনা ও সমাধানমূলক উপদেশ দিয়ে থাকেন। 


জুমার দিনের ফজিলত এর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক এই দিনে এমন একটা সময় আসে যখন মুমিন বান্দা কোন দোয়া করলে আল্লাহ তায়ালা সেই দোয়া কবুল করেন। 


জুমার দিনে দোয়া কবুল হওয়ার সময় কোনটা এসম্পর্কে ৪৫টি মতামত পাওয়া যায়। তবে এর মধ্যে সর্বাধিক প্রসিদ্ধ মত হল আসরের নামাজের পর থেকে মাগরিব পর্যন্ত দোয়া কবুলের সময়। 


জুমার দিন মুসলমানের কাছে অধিক গুরুত্বপূর্ণ ও ফজিলত তাৎপর্যপূর্ণ একটি দিন। তাই আমাদের সকলের উচিত জুমার দিন কে সঠিকভাবে কাজে লাগানোর ইবাদত বন্দেগির মাধ্যমে আল্লাহর সান্নিধ্যে যাবার চেষ্টা করা। 


মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে জুম্মার দিনের ফজিলত দান করুক এবং জুমার দিন আরও বেশি ইবাদত বন্দেগী করার তৌফিক দান করুন।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন