হিটলারের ইহুদি হত্যার কারণ কি, কেন অসংখ্য ইহুদিদের হত্যা করেছিল ?

হিটলারের ইহুদী হত্যার কারণ

হিটলার কেন অসংখ্য ইহুদি হত্যা করেছিল

পৃথিবীতে একজন ব্যক্তির হাতে একই ধর্মে এতগুলো মানুষ হত্যার ইতিহাসে আর নেই। কিন্তু আজও অজানা রয়ে গেছে হিটলার কেন পৃথিবী এতগুলো মানুষকে হত্যা করেছিলেন। 

হিটলার কে ছিলেন

ইতিহাসে হিটলারের জন্ম সম্পর্কে তেমন কোনো সঠিক প্রমাণ পাওয়া যায়নি। ঠিকভাবে বলতে গেলে হিটলারের কোন বৈধ কোন জাত নেই। জারজ বা অবৈধ সন্তান ছিলেন যদিও হিটলারের জীবনের অনেক অংশে তার মায়ের নাম যোগ করতে দেখা যায়। একজন অষ্ট্রীয় বংশদ্ভুত জার্মান রাজনীতিবিদ। হাজার 1933 থেকে 1945 সাল পর্যন্ত তিনি জার্মানির চ্যালেন্সর ছিলেন। 


হিটলারের ধর্ম কি ছিল 

গবেষকরা অনেকেই মনে করেন হিটলারের নির্দিষ্ট কোন ধর্ম ছিল না তিনি ছিলেন নাস্তিকতায় বিশ্বাসি। অনেক ধর্মের প্রতি তার বিদ্বেষ দেখা যায় যেমন খ্রিস্টান ধর্মকে তিনি অনেকটাই কঠিন বলে মনে করতেন আবার ইহুদিদের হত্যা তার ধর্মের প্রতি উদাসীনতা ও প্রকাশ করে। আসলে হিটলার কোন ধর্মের ছিলেন তার সঠিক করে বলা যায় না। 

আরো  খবর পরুনঃ

গোপনাঙ্গ থেকে লোম দূর করার ঘরোয়া উপায়…………….

চুমু খাওয়ার ৭টি উপকারিতা……………….

স্তন-দুধ দ্রুত বড় করার সহজ উপায়…………….

জন্ডিস কেন হয় ? জন্ডিসের লক্ষ্মণ ও ঔষধ…………….

হিটলারের ইহুদী হত্যার কারণ কি

এডলফ হিটলার ইহুদিদের কেন এত বেশি ঘৃণা করতেন তা এখনো জানা যায়নি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে এখন পর্যন্ত গবেষকরা অনেক গবেষণা করেছেন কিন্তু কোনো সঠিক তথ্য উপস্থাপন করতে পারেননি। তবে এটা নিশ্চিত যে হিটলার ইহুদিদের বিশ্বাসঘাতক এবং বেইমান জাতি হিসাবে বলতেন। 

হিটলার কেন অসংখ্য হত্যা করেছিল

হিটলার কেন ইহুদিদের হত্যা করেছিলেন এ নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনা রয়েছে ? ২০০৯ সালে জামার্নিতে প্রকাশিত জার্মান ইতিহাসবিদ ও প্রবীন সাংবাদিক ড: জে. রিকার-এর লেখা বই “নভেম্বর নাইন: হাউ ওয়ার্ল্ড ওয়ার ওয়ান লেড টু দ্য হলোকাস্ট” থেকে জানা যায় হিটলার প্রথম বিশ্বযুদ্ধে জার্মানদের পরাজিত হওয়ার কারণ হিসেবে একমাত্র ইহুদিদের দায়ী করতো। ইহুদিরাই জার্মানদের বিজয় ছিনিয়ে নিয়েছে এই বিশ্বাস ছিল হিটলারের। এবং তার আরো দৃঢ় বিশ্বাস ছিল, নভেম্বর ৯, ১৯১৮ সালে জামার্নির রাজতন্ত্রের বিলোপ ইহুদিদের দ্বারা সংগঠিত হয়েছিল।

হিটলার কেন অসংখ্য ইহুদি হত্যা করেছিল

ইতিহাসবিদ রুডল্ফ বিনিয়নের হিটলারের ইহুদি বিদ্বেশের অন্যতম কারণ হিসেবে বিবেচিত ইহুদি ডাক্তার দ্বারা তার মায়ের চিকিৎসা প্রকিয়াকে সমর্থন করা হয়নি। এমনকি যেখানে সবাই জানে হিটলার সেই ইহুদি ডাক্তারকে মনপ্রাণে ঘৃণা করতো এবং কখনও ক্ষমা করেনি। ১৯৪০ সালে সেই ইহুদি ডাক্তার সব সম্পত্তি বিক্রি করে স্ত্রী সহ আমেরিকাতে চলে যায়। ব্রিজিট হামান নামক আরেক জার্মান ইতিহাসবিদ ও লেখক তাঁর এক বইতে লিখেছেন হিটলারের মায়ের চিকিৎসককে হিটলার সৎ ইহুদি মনে করতো।


হিটলারের উক্তি

বলা হয় হিটলার ছিলেন পৃথিবী বিখ্যাত বক্তা তিনি  ভাষণে শ্রোতাদের মন্ত্রমুগ্ধের মতো নিমগ্ন করে রাখতেন ,হিটলারের বিভিন্ন ভাষণ থেকে বাছাই করা ৩টি উক্তি 

১. একজন বড় মিথ্যাবাদী, একজন বড় জাদুকরও।

২. অপছন্দের চেয়ে ঘৃণার স্থায়িত্ব বেশি।

৩. যে যুবক ভবিষ্যৎকে জয় করে, সে হয় একা।


হিটলারের মৃত্যু

হিটলারের মৃত্যুর রহস্য ৩০ এপ্রিল ১৯৪৫। চারদিক থেকে বার্লিন অবরোধ করে ফেলে লাল ফৌজ। হিটলার বুঝতে পারেন আর অপেক্ষা করা উচিত নয়। যে কোনো মুহূর্তে লাল ফৌজ এসে তাকে বন্দি করতে পারে। তিনি তার ড্রাইভার ও আরো একজনকে বললেন, মৃত্যুর পর যেন তাদের এমনভাবে পোড়ানো হয়, দেহের কোনো অংশ যেন অবশিষ্ট না থাকে।

বিকেল সাড়ে তিনটার সময় তিনি নিজের ঘর থেকে বের হয়ে তার পার্শ্বচরদের সাথে করমর্দন করে নিজের ঘরে ঢুকলেন। তারপরই শব্দ শোনা গেল। হিটলার নিজের মুখের মধ্যে গুলি করে আত্মহত্যা করলেন। আর ইভা আগেই বিষ খেয়েছেন।

দুজন সৈন্য তাদের কম্বল দিয়ে মুড়ে বাগানে নিয়ে এল। চারদিক থেকে কামানের গোলা এসে পড়ছে। সেই অবস্থাতেই মৃতদেহের ওপর পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়া হলো। যিনি সমস্ত মানবজাতিকে ধ্বংস করতে চেয়েছিলেন, নিজের অপরিণামদর্শিতায় শেষ পর্যন্ত নিজেই ধ্বংস হয়ে গেলেন। 


2 মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন