যক্ষ্মা রোগের লক্ষণ

যক্ষ্মা রোগের লক্ষণ যক্ষ্মা (টিবি) একটি বায়ুবাহিত রোগ যা মাইকোব্যাক্টেরিয়াম টিউবারকিউলোসিস নামক ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট হয়। এই ব্যাকটেরিয়া ফুসফুসের গহ্বরে প্রবেশ করে এবং সেখানে একটি ক্ষত তৈরি করে। এই ক্ষতটি ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পায় এবং ফুসফুসে ক্ষত তৈরি করে। যক্ষ্মা ফুসফুসের বাইরেও ছড়িয়ে পড়তে পারে, যেমন লিভার, কিডনি, মস্তিষ্ক এবং হাড়ে।

যক্ষ্মা রোগের লক্ষণ

যক্ষ্মার লক্ষণগুলি সাধারণত ধীরে ধীরে শুরু হয় এবং সময়ের সাথে সাথে খারাপ হতে থাকে। ফুসফুসের যক্ষ্মার সাধারণ লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে:

দীর্ঘস্থায়ী কাশি (তিন সপ্তাহের বেশি)
বুকে ব্যথা
ক্লান্তি
ওজন হ্রাস
রাতের ঘাম
জ্বর

যক্ষ্মা ফুসফুসের বাইরে ছড়িয়ে পড়লে, এটি সেই অঙ্গের উপর নির্ভর করে বিভিন্ন লক্ষণ সৃষ্টি করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, যক্ষ্মার কারণে লিভারের ক্ষতি হলে, এটি পেটে ব্যথা, বমি বমি ভাব এবং বমি হতে পারে। মস্তিষ্কের যক্ষ্মার কারণে মাথাব্যথা, বমি বমি ভাব, বমি, খিঁচুনি এবং অচেতনতা হতে পারে।

যক্ষ্মার সন্দেহ হলে একজন ডাক্তারের কাছে পরামর্শ নেওয়া উচিত। ডাক্তার রোগীর লক্ষণ, চিকিৎসা ইতিহাস এবং শারীরিক পরীক্ষার ভিত্তিতে রোগ নির্ণয় করতে পারেন। যক্ষ্মার নির্ণয়ের জন্য রক্ত পরীক্ষা, বুকের এক্স-রে এবং থুতু পরীক্ষা করা যেতে পারে।

যক্ষ্মা একটি curable রোগ। যক্ষ্মার চিকিৎসা সাধারণত ছয় মাসের জন্য অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে করা হয়। অ্যান্টিবায়োটিক সময়মতো এবং সম্পূর্ণরূপে গ্রহণ করা গুরুত্বপূর্ণ যাতে রোগটি নিরাময় হয় এবং পুনরাবৃত্তি না হয়।

যক্ষ্মা প্রতিরোধের জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি নেওয়া যেতে পারে: